November 2, 2024, 10:30 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন.
কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন কুমার রায়কে খুলনা রেঞ্জ পুলিশ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে কুষ্টিয়া মডেল পুলিশ স্টেশনে তার বিরুদ্ধে রবিবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে রবিবার রাত পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত ছিল। আজ (সোমবার) তাকে আদালতে হাজির করা হতে পারে। অধিকতর জ্ঞিাসাবাদের জন্য তার রিমান্ড চাওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
রবিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের কাস্টমস অফিসের সামনে এএসআই সৌমেন প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা করে তিনজনকে। নিহতরা হলেন আসমা খাতুন (২৫), তার সাত বছরের ছেলে রবিন ও শাকিল হোসেন (২৮) নামে আসমার এক বন্ধু। সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মাগুরা জেলায়। তিনি একসময় কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত শাকিলের বাবা মেজবার রহমান বাদী হয়ে এএসআই সৌমেন রায়কে আসামি করে গতকাল রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
নিহত ওই নারীর বাড়ি কুমারখালীর নাটুরিয়া গ্রামে। তবে তারা কুষ্টিয়া শহরে থাকতেন। নিহতদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের মূল কারণও জানা যায়নি। তবে ওই নারীর মা ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ায় চাকরিকালে সৌমেনের সঙ্গে আসমার পরিচয় হয়। দুই বছর আগে সৌমেন তাকে বিয়ে করেছিলেন।
অন্যদিকে নিহত শাকিলের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নাটুরিয়ায়ই। তার বাবার নাম মেজবার রহমান খান। তিনি বিকাশের স্থানীয় একজন এজেন্ট।
এদিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এএসআই সৌমেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার রাতে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে আইনিসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্মস্থল ফুলতলা থানা থেকে ছুটি না নিয়েই সৌমেন গতকাল সকালে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলেন। বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ ও আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি বহন করায় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটার পর সারাদেশ জুড়ে চলছে নানা আলোচনা।
নেহত আসমার পরিবার থেকেও নানা তথ্য উপাত্ত আসছে। কি সর্ম্পক ছিল আসমা ও সৌমেনের মধ্যে সেটা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটছে না। পুলিশও বিষয়টি নিয়ে পরিস্কারভাবে মুখ খুলছে না।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন তাদের মধ্যে বিয়ের বিষয়টি এখনও পরিস্কার হয়নি।
আসমান পবিার দৃঢ়কার সাথেই দাবি করছেন তাদের মধ্যে বিয়ের সম্পর্ক ছিল।
এদিকে হত্যাকান্ডের নির্মম শিকার হওয়া শিশু রবিনের বিষয়টি সবার কাছেই চরম স্পর্শকাতর হয়ে দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে উস্মা প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া পুলিশের অনেক কমর্তকর্তাও। জিজ্ঞাসাবাদেও এ বিষয়ে তেমন কিছু বলেনি সৌমেন।
Leave a Reply