December 22, 2024, 1:18 pm
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গায় আরও ৫৭ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা এ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়। এ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ১৮। জেলায় এটিই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড। সপ্তাহ জুড়েই এ হারে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। রোববার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ১২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে।
এ দিকে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ কে এম ফজলুল হক (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ভুন্দা ওস্তাগারের ছেলে। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান তিনি। তার ফুপাতো ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন ফজলুল হক। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। আজ রোববার দুপুরে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে সন্ধ্যায় ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান তিনি। তার মরদেহ নিজ বাড়িতে নেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার নতুন শনাক্তকৃত ৫৭ জনের মধ্যে ৩৫ জনই দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের। ১৩ জন সদর উপজেলার। আলমডাঙ্গা উপজেলার ২ জন ও জীবননগর উপজেলার ৭ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২শ ৭৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮শ ৮৬ জন। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩২২ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ৩৬ জন, বাড়িতে ২শ ৮৩ জন ও রেফার্ড হয়েছেন ৩ জন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, রোববার প্রাপ্ত ফলাফলে ৫৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এটিই জেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্ত। গত কয়েক মাস আগেও এ জেলায় করোনার সংক্রমন নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু গত ১ মাস থেকে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমতাবস্থায় অবশ্যই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পরিধান করতে হবে মাস্ক।
তিনি আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সংক্রমন বাড়ায় দামুড়হুদা উপজেলার ১৮টি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনকৃত এলাকায় নিয়মিত তদারকি করছে প্রশাসন। সচেতনতার পাশাপাশি করা হচ্ছে জরিমানাও। সংক্রমন বাড়লেও এখনও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। মাস্ক পরিধানের বিষয়ে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন তারা। অথচ এ জেলায় হু হু করে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার।
দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে মাস্ক না পরেই নিজের কাজে বের হয়েছেন ভ্যানচালক আলী হোসেন। তিনি বলেন, ‘ মাস্ক পরলি দম বন্দ হয়ি যায়। তাই খুলি থুয়িচি। আল্লাহ যা করে তাই হবে। ‘
Leave a Reply