December 23, 2024, 9:01 pm
জাহিদুজ্জামান/
কুষ্টিয়ায় করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
কুষ্টিয়া শহরে প্রবেশের সকল পয়েন্টে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে। সকল যানবাহন তল্লাশ করা হচ্ছে। কেউ যাতে মাস্ক না পরে শহরে প্রবশে করতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করছে তারা।
১ জুন দুপুরে করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে লকডাউন না দিয়ে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা এবং নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়। লকডা্উনের মতো সিদ্ধান্তে যেতে আরো কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করার কথা বলা হয়।
তবে লকডাউন দেয়া-না দেয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে নাগরিকদের মধ্যে। সীমান্তের এই জেলায় লকডাইন না দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না বলছেন অনেকেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এএফএম আমিনুল হক রতন বলেছেন, লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই কঠিন। তিনি বলেন, জীবন যেমন বাঁচিয়ে রাখা দরকার তেমনি জীবিকারও প্রয়োজন আছে। তাই সচেতনতা বাড়িয়ে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করার পক্ষে তিনি। তিনি বলেন, দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ এর কাছাকাছি। এটি ৫০ এর উপরে গেলে লকডাইনের কথা চিন্তা করা যেতে পারে।
এদিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন বলেন, প্রথম ঢেউয়ে আমাদের করোনা মোকাবেলার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বলেন, ভারতের মতো অবস্থা হলে তখন সেরকম ব্যবস্থা নেয়া যাবে। তিনিও কয়েকদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পক্ষে। বলেন, তারপর অবনতি হলে লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ১১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। সনাক্তের হার বেড়ে দাড়িয়েছে ২৭ শতাংশে।
Leave a Reply