December 23, 2024, 1:51 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পরিমাণ ও মৃত্যু দিগুণ হয়েছে।
সোমবার (৩১ মে) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিস জানায় বিভাগের ১০ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাতজনের এবং উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে আরও ২০৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল এই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৭। আর মৃত্যু ছিল ৫।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সূত্র বলছে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে খুলনা জেলায় মারা গেছেন দুইজন, বাগেরহাটের একজন, যশোরের একজন, সাতক্ষীরার একজন, নড়াইলের একজন এবং কুষ্টিয়ার একজন। একই সময় করোনা পজিটিভ এসেছে খুলনার ৫৩ জনের, বাগেরহাটের ১২ জনের, সাতক্ষীরার ৩৭ জনের, যশোরের ৪৩ জনের, নড়াইলের ৯ জনের, ঝিনাইদহের ৫ জনের, কুষ্টিয়ার ৩৩ জনের, চুয়াডাঙ্গার ১১ জনের এবং মেহেরপুরের ৩ জনের।
গত ২৪ ঘন্টায় সমগ্র বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৭৮ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত বছরের ১৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের পর থেকে সোমবার (৩১ মে) সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ২৯১ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪৫ জনে।
আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ হাজার ৩৫৮ জন।
আক্রান্ত ও মৃত্যুও দিকে দিয়ে ১০ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে খুলনা জেলা। এ পর্যন্ত জেলায় খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২২৪ জন। এদেও মধ্যে মারা গেছেন ১৭৪ জন। সু¯’ হয়েছেন ৯ হজার ১৭৬ জন।
অন্যদিকে আক্রান্তে যশোর জেলা দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও মৃত্যুতে সমগ্র বিভাগে দ্বিতীয় কুষ্টিয়া।
যশোরে যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩০ জন, মারা গেছেন ৮১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হজার ৩৮৭ জন। অন্যদিকে কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৬ জন ; মৃত্যুবরণ করেছেন ১১২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হজার ৬৪৮ জন।
জেলাওয়ারী বাগেরহাটে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬০৩ জন ; মারা গেছেন ৪২ জন এবং সুস্থ’ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৮ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হজার ৩২৯ জন।
নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৭৩ জন, মারা গেছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৮১৫ জন। মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৫৩ জন, মারা গেছেন ২৩ জন এবং সু¯’ হয়েছেন ১ হজার ২০৭ জন।
ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯০৮ জন, মারা গেছেন ৫৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হজার ৭৩৬ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬৮ জন, মারা গেছেন ৬১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৮১৭ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ জন এবং সু¯’ হয়েছেন ৮৩৫ জন।
এদিকে সীমান্তের জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন এটা উদ্বেগজনক।
সোমাবার (৩১ মে) কেবিনেট মিটিং থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান এই জেলাগুলোতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লকডাউন দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেবিনেট ডিভিশন এটা নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান। কিšন্তু আমের ব্যবসার কারনে এখনও বিষয়টি ভাবতে হচ্ছে। তাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে কখন দেওয়া হবে।
এদিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা সীমান্তবর্তী ৭ জেলায় লকডাউনের বিষয়ে সেখানকার জেলাপ্রশাসকরা (ডিসি) সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারল ইসলাম।
সোমবার (৩১ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
Leave a Reply