November 2, 2024, 4:39 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবুর নামে মামলা দিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন এক পরিবহন শ্রমিকের পরিবার। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ দিয়ে হয়রানীমূলক অস্ত্র মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে- বলেছেন ওই শ্রমিক ও তার স্ত্রী। এ ব্যাপারে কিছু জানেন না- বলেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু।
ঘটনাটি গত ২৮ এপ্রিলের। হামলার শিকার হন শহরতলীর জগতি কৃষকপাড়ার দেলোয়ার হোসেন ভোলা। ওইদিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় তার স্ত্রী মোছা মালেকা বিশ্বাসের করা এজাহার পর দিন মামলা হিসেব নেন কুষ্টিয়া মডেল থানা। নং ৫০।
এজাহারে বলা হয়, দেলোয়ার হোসেন ভোলা রূপসা পরিবহনের স্টাটার হিসেবে কাজ করেন। লকডাউনে গাড়ি বন্ধ থাকায় সে কুষ্টিয়া চৌড়হাস মোড়ে কিছু প্রাইভেট কার ও সিএনজিতে যাত্রী পরিবহনে সহায়তা করেন। সেখান থেকে পাওয়া সামান্য অর্থে চলছিল তার সংসার। এভাবে কয়েকদিন চলার পর ২৭ এপ্রিল সন্ধায় কুষ্টিয়া পৌরসভা ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু তাকে অফিসে ডাকেন। প্রতিদিন ১ হাজার করে টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। দেলোয়ার হোসেন টাকা দিতে অস্বীকার করায় পরের দিন ২৮ এপ্রিল দুপুর ১২ টার পর চৌড়হাস মোড়ে তার ওপর হামলা হয়। তিনদিন হাসপাতালে থেকে বাড়িতে ফিরেছেন দেলোয়ার। তিনি বলেন, কাউন্সিলর বাবু দাড়িয়ে থেকে তার লোক মীর জাকির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন মিলে ধারালো হাসুয়া, লোহার রড ও বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে।
স্থানীয়রা তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
মামলার বাদী দেলোয়ারের স্ত্রী মোছা মালেকা বিশ্বাস বলেন, আসামীরা ক্ষমতাসীন হওয়ায় মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ২মে একজন অপরিচিত যুবক বাড়ির ওপর এসে বলে গেছেন- মামলা তুলে না নিলে তাদের ফাঁসানো হবে। আসামীরা মিটিং করেছে। তারা পুলিশকে দিয়ে দেলোয়ারকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় জেলে পাঠিয়ে দেবে।
দেলোয়ার হোসেন ভোলা বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একটু সুস্থ হয়ে উঠলে হুমকির বিষেয়ে জিডি করবেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন ইতিমধ্যে হামলায় সরাসরি অংশগ্রহন করা ৩ নং নং আসামী আরিফুল ইসলাম, ও ৭ নং আসামী বিল্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
তবে, গ্রেফতারকৃত দুজনই আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে।
এদিকে, কুষ্টিয়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের কথাই হয় না। তার বাড়ি আমার বাড়ি থেকে এক মাইল দূরে। কীভাবে হামলা হলো। মামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি পরক্ষণেই বলেন, মামলা বা হুমকির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
Leave a Reply