December 23, 2024, 5:10 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে এ বছর যশোর শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ফরম পূরণ করতে পারার সুযোগ করে দিয়েছে বোর্ড কতৃপক্ষ। এজন্য সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়েছে। আজ (ররিবার) ফরমপূরণ চলছে। চলবে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত।
শিক্ষাবোর্ড কতৃপক্ষ বলছেন করোনার প্রকোপ আবারও বৃদ্ধির আশংকায় পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা চিন্তা করে এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। উদ্যোগটির সাথে পরিচিতি করাতে ইতোমধ্যে শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকদের সাথে একাধিক সভা করেছেন বোর্ড কতৃপক্ষ।
শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান এটা অভিনব হলেও নতুন কোন বিষয় নয়। যশোর বোর্ডের প্রায় শতভাগ সেবাই অনলাইনে দেয়া হয়ে থাকে। এর সাথে নতুন একটি সংযোজন হলো। তিনি বলেন এতে কোন ঝামেলাই হবে না। কারন একটি সিস্টেমের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি যুক্ত করে দেওয়া হবে। আর পরীক্ষার্থীদের ফি ব্যাংকের মাধ্যমে খাতওয়ারি উল্লেখ করে গ্রহণ করায় অভিভাবকদের কাছেও বিষয়টি কোন অপরিচ্ছন্নতা সৃষ্টি করবে না।
ডেভেলপ করা সফটওয়্যার অনুযায়ী, শিক্ষাবোর্ডের মূল ওয়েবসাইটে এসএসসি-২০২১ এর একটি অপশন থাকবে। শিক্ষার্থী বা অভিভাবক ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে অপশনটি ওপেন করে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে সেখান থেকে একটি লিঙ্ক মেসেজ করা হবে। সেই লিঙ্কে শিক্ষার্থীর নিবন্ধন নম্বর দিলেই তার ফরমপূরণের পেজ ওপেন হবে।
বোর্ডের নিবন্ধন অনুযায়ী সেখানে শিক্ষার্থীর ফরমপূরণের সব তথ্যই থাকবে। ফি প্রদানের জন্য সেখানে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর থাকবে। এটি স্কুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর। সেখানে বোর্ড ফি, কেন্দ্র ফি ও স্কুলের সেশন চার্জ, বেতন বা বকেয়া পাওনার পৃথক তথ্যসহ মোট কত টাকা জমা দিতে হবে তা উল্লেখ থাকবে। বিকাশ বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথবা সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবার মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে জমা করলে ফরম পূরণ হয়ে যাবে।
পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ সকল শিক্ষার্থীর ফরমপূরণের বিষয়টি বোর্ডে চুড়ান্তভাবে জমা দেবে।
বোর্ডের প্রায় ২ লাখের মতো পরীক্ষার্থী এভাবেই ফরম করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনেক স্কুল কতৃপক্ষও বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল জানান তাদের বোর্ডের অধিকাংশ কার্যক্রমই অনলাইনে হয়ে থাকে। এতে তাদের সুবিধাই হয়। নতুন এই ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ায় সবাই লাভবান হচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ খান বিষয়টিকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আখ্যায়িত করেন।
শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেনের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এটা এই বোর্ডেই প্রথম সকল বোর্ডের মধ্যে। করোনার এই ঝুঁকির মধ্যে এটা অনেক একটা আমা জাগিয়েছে।
তিনি বলেন অনেক শিক্ষক প্রথমে বিষয়টি নিয়ে একটু চিন্তার মধ্যে থাকলেও পুরো প্রক্রিয়া অবহিত হবার পর তারা এখন দারুণ সক্রিয় হয়েছেন। ড. আমির জানান এই ব্যবস্থায় পুরো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, র্বোড এমনকি সরকারও লাভবান হবে।
তুষ্টিয়ার খোতসা উপজেলার শোমসপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী প্রীতি বিদ্যালয়ে না এসে নিজ পড়ার চেয়ারে বসেই ফরমফিলাপ করার পর সে জানায় এটা তার কল্পনার বাইরে ছিল। শিক্ষার্থীটি জানায় এটা খুবই সহজ ও কার্যকর।
Leave a Reply