December 22, 2024, 2:59 pm
(ছবি: ডিসচার্জ চ্যানেলে পানি সরবরাহ পর্যবেক্ষণ করছেন প্রকৌশলী মিজানুর রহমান)
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
পদ্মায় পানি বাড়ায় পুরোদমে চালানো হচ্ছে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্প। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেছেন, ৬ এপ্রিল সকাল থেকে ডিসচার্জ চ্যানেলে ১৪.৫ মিটার আর এল (রিডিউসড লেভেল) পানি সরবরাহ হচ্ছে। তিনি বলেন, এটিই সর্বোচ্চ সরবরাহ। এই লেভেলে পানি গেলে প্রকল্পের প্রধান খাল থেকে শাখা এবং প্রশাখায় শেষ পর্যায় পর্যন্ত পানি পাবে কৃষক।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী থেকে চ্যানেলের মাধ্যমে পানি এনে পাম্প করে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার কৃষকদের জন্য সরবরাহ করা হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
পদ্মায় পানি কমে যাওয়ায় গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় জিকে সেচ প্রকল্পের পানি সরবরাহ শূন্যে নিয়ে আসা হয়। এভাবে এক সপ্তাহ বন্ধ ছিলো সেচ সুবিধা। পরে ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে স্বল্পমাত্রায় পাম্প চালু করেন প্রকৌশলীরা। শূন্য থেকে ধীরে ধীরে ভ্যান অ্যাঙ্গেল (পাম্প চালানো স্ইুচ) বাড়িয়ে ১০% এ দিয়ে পানি সরবরাহ করা হয়। সেসময় ডিসচার্জ চ্যানেলে পানি সরবরাহ ১৩.২৫ মিটার আরএল পর্যন্ত হয়েছিল।
পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এরমধ্যে ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে একটি পাম্প বন্ধ হয়ে যায়। সেটি আবার ৫এপ্রিল সন্ধ্যায় চালু করা গেছে।
এদিকে যৌথ নদী কমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ এখন গ্যারান্টিযুক্ত ৩৫ হাজার কিউসেক (প্রতি সেকেন্ড ১ঘণফুট) পানি পাচ্ছে। কমিশনের সদস্য মো. মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ১লা এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে বাংলাদেশ। আগের ১১ দিন ভারত একইভাবে ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি নিয়েছে। চুক্তি মোতাবেক সেসময় বাংলাদেশের প্রাপ্যতা ছিলো মাত্র ২৩ হাজার ৫৪৪ কিউসেক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাবনার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহেদুল ইসলাম বলেছেন, ৫ এপ্রিল হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি পাওয়া গেছে, ৩৫ হাজার ৯৪৬ কিউসেক।
কুষ্টিয়া অঞ্চলের চার জেলায় কৃষকদের জন্য সেচ দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের পাম্প দুটি গত ১৫ এবং ১৭ জানুয়ারি চালু করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় বোরো মৌসুমে এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৪ কিলোমিটার প্রধান খালের মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়ার লক্ষমাত্রা ধরা হয়।
এদিকে পাম্প চালু হওয়ার খবরে খুশি হয়েছেন কৃষকরা। কুষ্টিয়া সদরের সোনাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষষ মোহাম্মদ আলী বলেন, ক্যানেলে পানি এসেছে। আস্তে আস্তে বাড়ছে। পানি থাকলে বোরো ধান বাচানো সম্ভব হবে।
Leave a Reply