December 23, 2024, 4:57 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন ডেস্ক//*/
দূষিতবায়ু প্রবণ অঞ্চলে করোনায় মৃত্যুহার বেশি হচ্ছে বলে নতুন গবেষণা বলছে। এসব অঞ্চলের বাতাসের কিছু উপাদান যা হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বাড়িয়ে দেয়। খবর গার্ডিয়ানের।
গবেষণা প্রমাণ হলে বাংলাদেশের নারায়নগনজ জেলা দেশের সবেচ বায়ুদূষিত এলাকা। এবং এখানে ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্তের হার বেশী পাওয়া গেছে।
ঢাকা ও গাজীপুরের বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে। বরিশাল, রংপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় বায়ুর মান সহনশীল অবস্থানে। সাভার, ময়মনসিংহ অঞ্চলের বায়ুর মান সতর্কাবস্থায়। আর সবচেয়ে দূষিত বায়ু নারায়ণগঞ্জে। সেখানকার বায়ুর মান খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুর মানের দিক দিয়ে ভালো অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী।
২২ জুন ২০১৯ রিাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এক সেমিনারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বায়ুর মান তুলে ধরেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) ১০টি সংগঠন ‘বায়ুদূষণ ও করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
দেখা গেছে, স্পেন, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সের ৬৬টি প্রশাসনিক এলাকায় মৃত্যুহার বেশি। এর মধ্যে পাঁচটি অঞ্চলে মৃত্যুর হার ৭৮ শতাংশ। আর এ পাঁচ অঞ্চলই সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের শিকার।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, উচ্চমাত্রার বায়ুদূষণের প্রভাবে কোভিড-৯ এ মৃত্যুহার বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে বায়ুদূষণের উচ্চমাত্রার কারণে দেশটিতে এতো বেশি মানুষ মারা গেছে।
অবশ্য চিকিৎসকরা এখনই এতে সায় দিচ্ছেন না। তারা দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, এমনটা বলার আগে আরো গবেষণা চালানো উচিত বলে মনে করেন।
হারভার্ডের গবেষকরা বলেছেন, যেসব শহরে বিগত বছরগুলোতে বায়ুদূষণের মাত্রা কম ছিল, সেসব শহরে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর হারও কম। কমের এই পরিমাণটা শতকরা ১৫ ভাগ।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর মৃত্যুহারের নমুনাগুলোর সঙ্গে জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং উচ্চমাত্রার পিএম ২.৫ এক্সপোজারের নিদর্শনগুলোর মিল রয়েছে।
Leave a Reply