December 23, 2024, 1:23 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু চাঁদনী গৃহকর্মীর কাজে গিয়েছিল ঢাকায়। সারা শরীরে ক্ষত নিয়ে ৯ মাস পর বাড়ি ফিরেছে সে।
বুধবার বিকেলে খোকসা হাসপাতালে অসুস্থ্য শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ার তমিজ উদ্দিন তোজর মেয়ে।
শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, করোনা শুরুর পর পরই একই গ্রামের মাসুদুজ্জামান রান্টুর মেয়ে নেছার ঢাকার বাসায় কাজের জন্য পাঠানো হয় ১০ বছরের শিশু চাঁদনীকে। ঢাকায় যাওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই শিশুটিকে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। শিশুটির বাবা তোজো বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে পরে গ্রামের মানুষের স্মরণাপন্ন হয়। পরবর্তীতে গ্রামের মানুষের চাপের মুখে ৯ মাস পর গত মঙ্গলবার দুপুরের গৃহকত্রী নেছা চাঁদণীকে তার বাবা মাসুদুজ্জামান রান্টুর উপজেলা শহরের বাসায় নিয়ে এসে সেখান থেকে শিশুটিকে তার নানির কাছে বুঝে দেওয়া হয়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে গ্রামবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। তখন শিশু চাঁদনীকে উপজেলা স্বাস্থ্য ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শামীম মাহমুদ জানান, মেয়েটির গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে অনেকটাই শারীরিকভাবেও দুর্বল ছিল। অবস্থা দেখে তাকে ভর্তি করে নেয়া হযেছে। এখন চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালের বিছানায় বসে শিশু চাঁদনী তার নিজের শরীর থেকে কাপড় সরিয়ে গৃহকর্ত্রীর নির্মম নিযাতনে সৃষ্ট ক্ষত চিহ্ন দেখায়। সে জানায় ঢাকার বাসায় পৌচ্ছানের চার দিন পর থেকে তার উপর নির্যাতন শুরু করে গৃহকত্রী নেছা। তাকে মারধর করার পর রাতে ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফ্লোরে উপর করে ফেলে রাখা হতো। তাকে ঠকমতো কেতেও দেয়া হতো না।
শিশুটির বাবা তোজে জানায় তার বাচ্চটিকে একরকম জোর করেই নিয়ে যায় তারা। মাসে মাসে মেয়ের পারিশ্রমিক হিসাবে তাকে টাকা দেওয়া কথা ছিল। কিন্তু সেটাও দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে গৃহকত্রী নেছার বাবা মাসুদুজ্জামান রান্টু বলেন, তার কাছে মনে হয়েছে ব্যাপরটি একটি চক্রান্ত। মঙ্গলবার তার বাসা থেকে মেয়েটিকে তার নানি নিয়ে গেছে। এ বিষয়টি তিনি ভিডিও করে রেখেছেন। শিশুটির গায়ে আগে থেকে পচঁরা রোগ ছিল। তার কিছু চিহ্ন ছিল।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঢাকাতে ঘটেছে। শিশুটি এখন খোকসা হাসপাতালে ভর্তি আছে। বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য একজ অফিসার পাঠিয়েছেন। যদি কেও অভিযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply