December 30, 2024, 11:07 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
সারাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে ২৬ হাজারের বেশি জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক এখনো অ্যাকাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণমূলক কাম্য যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হননি। শিক্ষকদের জাতীয়করণ করার পর তিন বছর সময় দেয়া হলেও অনেকে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে ভুয়া সনদধারী একটি বিশাল অংশ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আগের বিধিমালা অনুযায়ী জাতীয়করণ হওয়া নারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এইচএসসি পাস ও সিইনএড (সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন) কোর্স এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ডিগ্রি বা সমমান পাস ও সিইনএড কোর্স করতে বলা হয়। যোগ্যতা অর্জনে তাদের জাতীয়করণের পর সময় বেঁধে দেয়া হয় তিন বছর। এ সময় পেরিয়ে আরও এক বছর পার হয়ে গেলেও জাতীয়করণ হওয়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ২ হাজার ৪৯৬ জন শিক্ষক নিজেদের যোগ্যতা সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ শিক্ষকদের অধিকাংশরাই সরকারি চাকরির শেষ সময়ে চলে এসেছেন। তাদের অনেকের ৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়স হয়ে গেছে। বর্তমানে অবসরে যাওয়ার অপেক্ষায় তারা। এর বাইরে ৩৫ থেকে ৪৫ বছরের বেশকিছু নারী-পুরুষ শিক্ষক রয়েছেন, যারা এসএসসি বা এইচএসসি পাস করে বেসরকারি স্কুলে চাকরি শুরু করেন। পরে জাতীয়করণ হলেও তারা আর সে পদের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেননি।
২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি তিন ধাপে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম ধাপে ২২ হাজার ৯২১, দ্বিতীয় ধাপে ১৭১৯টি এবং তৃতীয় ধাপে বেশ কয়েকটি এনজিও দ্বারা পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ২ হাজার বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, যোগ্যতা অর্জনে শিক্ষকদের দেয়া নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে। পিছিয়ে পড়াদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা অবসরে যাওয়ার পথে, তাদেরকে অবসরে পাঠানো হতে পারে। অন্যদের নতুন করে আরও সময় বাড়িয়ে দেয়া হতে পারে। সে সময়ের পরও যদি ব্যর্থ হন, তবে তাদের চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
তারা আরও জানান, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে, তাই এটি মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply