December 23, 2024, 2:20 am
কে এম আর শাহীন/
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খানের পৃৃথক দুইটি তড়িৎ পদক্ষেপে বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে ১৪ বছর বয়সের দুই কিশোরী। এসময় বাল্যবিবাহ আয়োজন করার দায়ে কনের মা ও বাবাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঘটনাটি আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ের দয়ারামপুর ও হাসিমপুর গ্রামে ঘটেছে। জানা যায়, উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর এবং হাশিমপুর গ্রামে দুইটি বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আলীকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান। অভিযানে ২টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করে ইউএনও।এসময় দয়ারামপুর গ্রামের ঘটনায় কনের মা ছাড়া বাকিরা পালিয়ে যায়। কনের মা’কে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিবে না এই মর্মে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়া হয়। হাশিমপুরে ঘটনায় মেয়ের বাবা মাকে একই আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়ের বাড়ি থেকে জব্দকৃত রান্না মাংস এতিমখানায় এতিমদের খাওয়ার জন্য দিয়ে দেয়া হয়। ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিবে না এই মর্মে মুচলেকা নিয়ে মেয়েকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়া হয়। এবিষয়ে রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুইটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কনের বাবা মাকে জরিমানা দায়ের করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইনানুসারে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। আজকের ঘটনায় মেয়ের বাবা মায়ের বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে জেল দেয়া হয় নাই। তবে ভবিষ্যতে বাল্যবিবাহ বন্ধে আরো কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
Leave a Reply