December 22, 2024, 2:31 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, খোকসা/
কুষ্টিয়ার খোকসায় নিখোঁজের অনেক ভাটি পর্যন্ত খোঁজ করেও শিশু তানহাকে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের বিশেষজ্ঞ ডুবুরি দল। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
কুষ্টিয়ার খোকসায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তানহা নিখোঁজ হন বুধবার সকালে। দুপুর থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রাতে খুলনা থেকে আসা ৫ সদস্যের বিশেষ ডুবুরি দল নামে শিশুটির বাড়ির পাশে কমলাপুরে গড়াই নদীতে। বৃহস্পতিবার সকালে আবার অনুসন্ধান শুরু করেন ডুবুরিরা। কিন্তু হতাশ মনে দুপুর দেড়টায় তল্লাশ অভিযান শেস করেন ডুবুরিরা। মেয়েটির সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ শিশু তানহা (১০) খোকসার কমলাপুরের টেইলর মাস্টার মো. ইউসুফের বড় মেয়ে। তার আরেকটি মেয়ে আছে নাম তানিমা (৪)। তানহা কমলাপুর রুমী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার তানহার মা শাপলা খাতুন বলেছিলেন, সকালে বই খাতার মধ্যে পাওয়া আরবি লেখা কয়েকটি ছেড়া পৃষ্ঠা মেয়েকে দিয়ে বাড়ির পাশের গড়াই নদীতে ফেলতে পাঠান। গ্রামাঞ্চলে কোন আরবী লেখা কাগজ পেলে সম্মান জানাতে পানিতে ফেলার কুসংস্কার আছে। তানহা দুপুর পর্যন্ত ফিরে না আসায় খোঁজা-খুজি শুরু হয়। গ্রামের মসজিদের মাইকে শিশু তানহা নিখোঁজের খবরটি প্রচার করা হয়। এরপর স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। তারা আসার পর খুলনা থেকে ডুবুরি কল করা হয়।
খোকসা ফায়ার স্টেশন অফিসার ইন্দ্রো প্রশাদ দাস জানান, নদীতে শিশু নিখোজের খবর পেয়ে তার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। খুলনা থেকে ৫ সদস্যের ডুবুরিদলও এসেছেন।
খোকসা ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, লিডার জীবন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫জন ডুবুরি রাতে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গড়াই নদীতে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে সকাল ৭টা ৪০ মিনিট থেকে আবার শুরু করেন। ঘটনাস্থল থেকে মোশাররফ হোসেন জানান স্থানীয় লোকজন নৌকা এবং জাল নিয়ে ডুবুরিদের সহযোগিতা করছেন। অনেক ভাটিতে খুজেও তানহাকে পাওয়া যায়নি, শেষ পর্যন্ত দুপুর দেড়টায় অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply