December 22, 2024, 7:04 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির রহস্যজনক মৃত্যুর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে সেখানে ধর্ষণের কোস আলামত পাওয়া যায়নি। এমনকি শারীরিক কোন নির্যাতনের আলামতও নেই।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার এটা জানান।
তিনি বলেন তিন্নি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে শোয়ার ঘর থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন্নির মরদেহ উদ্ধার বরা হয়। পরিবারের দাবি, তিন্নি ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা ও ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
তিন্নি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী করেছেন চিকিৎসক। তদন্তে ধর্ষণ কিংবা
শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাতে তিন্নির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
তিন্নী ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের মেধাবী ছাত্রী উলফাত আরা (তিন্নি)’র মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এটি যেমন সামনে আসছে তেমনী আসছে তিন্নির সাবেক ভগ্নিপতি জামিরুলের খারাপ ভুমিকার বিষয়টি। মনে করা হচ্ছে জামিরুলের নির্যাতনের শিকার হয়ে অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে তিন্নি।
তিন্নির খালাতো ভাই মখলেছুর রহমান জানান, তিন্নির বড়বোন মিন্নির সঙ্গে একই গ্রামের পুনুরুদ্দিনের ছেলে জামিরুলের বিয়ে হয়। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার মিন্নিকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে জামিরুল। এজন্য জামিরুল নানা ভাবে তিন্নির পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
এরই জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিন্নিদের বাড়িতে এসে জামিরুল বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ভাংচুর চালায়। পরে রাত ১০টার দিকে জামিরুল আরও ১৫/২০ জন লোক নিয়ে তিন্নিদের বাড়িতে হামলা করে। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী তিন্নি বাড়ির দুই তলায় নিজের ঘরে পড়ছিলেন। এসময় জামিরুল লোকজন নিয়ে ওই ঘরে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে তিন্নিকে চরম মারধর করে।
একপর্যায়ে জামিরুল তার লোকজন নিয়ে চলে যায়। এর ১০ মিনিট পরেই তিন্নির মা ও বোন বাড়ির দুই তলায় গিয়ে তিন্নির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।
এব্যাপারে তিন্নির মা হালিমা বেগমের অভিযোগ ঘটনার দিন তিন্নি সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া থেকে এক বান্ধবীর বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরার পথে জামিরুল ইসলাম তাকে হুমকি দেয়। সে তাকে ক্ষতি করবে বলে জানায়।
হালিমা বেগমের দাবি তিন্নিকে নির্মম নির্যাতনের পর পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
Leave a Reply