December 30, 2024, 10:17 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্বামী ও শাশুড়ীর নির্যাতনে নিহত এক গৃহবধ হত্যার বিচারের দাবিতে তার মরদেহ সামনে রেখে মানববন্ধন হয়েছে। এতে অংশ নেন ঐ নিহতের স্বজনরা ও এলকাবাসী। নিহতের নাম তাসমিম আক্তার মিম। সে জেলার মিরপুর উপজেলার কামিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ মহিবুল আলম এর একমাত্র মেয়ে ছিল।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কচুয়াদহ গ্রামে মিমের দাফনের আগে তার কফিন সামনে রেখে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে মিমের হত্যাকারী হিসেবে মিমের স্বামী এজাজ আহম্মেদ বাপ্পী’র ও শাশুড়ী কোহিনুর বেগমের ফাঁসির দাবী জানানো হয়।
নিহত মিমের মা তাজমা খাতুন জানান, ৪ বছর আগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের তারাগুনিয়া এলাকার মৃত জিন্না মোল্লার ছেলে এজাজা আহম্মেদ বাপ্পী’র সাথে মিমের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। যদিও বিয়ের সময় ঐ পরিবারের দাবি অনুযায়ী সাধ্যমতো যৌতুক দেয়া হয় কিন্তু কিছুদিন যেতেই বাপ্পী ও তার মা মিমের উপর নির্যাতন চালাতো। তাদের দাবি ছিল আরো নগদ টাকার।
তাজমা জানান ২ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেলের দাবি তুলে বাপ্পী। এসময় মিম প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে নির্যতন। জানা যায় ঐ দিন বেলা ৪টার দিকে বাপ্পি এবং তার মা কহিনুর বেগম মিলে মিমের উপর চরম নির্ষাতন করে। একপর্যায়ে মিমের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তখন মা ছেলে মিলে মিমকে ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। মিমের চিৎকার শুনে পাশের লোকজন ছুটে এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে শাশুরী কহিনুর ও স্বামী বাপ্পীকে দেখতে পায়। ঘটনা জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় মিম আত্মহত্যার চেষ্টা করছিল। কিন্তু দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল কেন এবং তারা কি করছিল এর উত্তর মেলেনি।
এ ঘটনা মিমের পিতার পরিবারকে না জানিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চলে যায় বাপ্পী ও তার পরিবার। পরে প্রতিবেশিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গুরুতর অবস্খায় মিমের স্বজনরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মিমকে খুজে পায়। পরেরদিন তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে নেয়া হয়। সেখানে ১৩ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত মঙ্গলবার ভোড় ৪টার সময় মারা যায় মিম।
মিমের পরিবারের দাবি এই ঘটনায় দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দয়ের করলেও এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি জহুরুল আলম জানান তিনি গতকালই যোগদান করেছেন এই থানায়। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন।
Leave a Reply