December 22, 2024, 2:37 pm
বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কুষ্টিয়া/
মৃত্যুর কাছে হার মানলো শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার মিম। ১৫ সেপ্টেম্বর ভোরে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কামিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ মহিবুল আলম এর একমাত্র মেয়ে তাসমিম মিমের বিয়ে হয় ২০১৬ সালে জেলার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামে মৃত জিন্না মোল্লার ছেলে এজাজ আহমেদ বাপ্পির সাথে তার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর বাপ্পির মা কহিনুর বেগম ছেলের মিমের সাথে খারাপ আচরন শুরু করে। নানা অছিলায় মিমের উপর নির্যাতন শুরু হয়। সাতে যোগ দেয় স্বামী বাপ্পী নিজেও। এর ধারাবাহিকতায় গত ১ সেপ্টেম্বর বিকাল চারটার দিকে বাপ্পি এবং তার মা কহিনুর বেগম মিলে মিমের উপর চরম নির্ষাতন করে। একপর্যায়ে মিমের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তখন মা ছেলে মিলে মিমকে ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। মিমের চিৎকার শুনে পাশের লোকজন ছুটে এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে শাশুরী কহিনুর ও স্বামী বাপ্পীকে দেখতে পায়। ঘটনা জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় মিম আত্মহত্যার চেষ্টা করছিল। কিন্তু দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল কেন এবং তারা কি করছিল এর উত্তর মেলেনি।
তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় মিমকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে ঢাকাতে প্রেরণ করে।
ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে ১৪ দিনের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় মিম।
এ বিষয়ে একনও কোন মামলা হয়নি।
Leave a Reply