December 22, 2024, 3:33 pm
কুষ্টিয়ার সামাজিক অঙ্গণে খুবই পরিচিত একটি নাম ছিল রাকিব রিকো। পুরো নাম রাকিবুল হাসান রিকো। অল্প বয়সেই সামাজিক কাজে আত্মনিয়োগ করে সবার দৃষ্টি কেড়েছিল ছেলেটি। পারিবারিক মন্ডলে বেড়ে উঠেছিল রিকো। বাবা মা ও দু’ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিল রিকো। বড় ভাই কবি ও সাংবাদিক শৈবাল আদিত্য রিপন। দুজন মিলেই জড়িয়ে ছিলেন সামাজিক কাজে। বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন। নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে ছিলেন সম্মিলিত সামাজিক জোট কুষ্টিয়ার। সকল কাজেই তাকে পাওয়া যেত। দিন নেই রাত নেই যখন প্রয়োজন ছুটে আসতো ছেলেটি। কাজ শেষ করেই তবে দম। এসবের মাঝেও কোথায় একটি যন্ত্রনা ছিল্ সেটি হলো অসুস্থ্যতা। দুরারোগ্য প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ বাসা বেঁেধছিল ছেলেটির দেহে। এ সমস্যা থেকেই দীর্ঘদিন লিভার সমস্যায় ভুগছিলো ছেলেটি।
এর আগে ইন্ডিয়ার ভ্যালর থেকে দীর্ঘ চিকিৎসা করানো হয়। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেও ডাইবেটিস থাকার কারনে পুরনো লিভার সমস্যা মাঝে মাঝেই দেখা দিতে থাকে। কয়েকদিন আবার তার শারীরিক অবস্থায় হঠাৎ ছন্দ পতন ঘটে। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সমস্যা আরো জটিল হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, ভর্তির দুই দিন পর ৩০ আগস্ট ভোর ৫ টার দিকে ঢলে পড়তে হয় মৃত্যুর কোলে।
এভাবেই শেষ হয়ে যায় একটি ছোট ইনিংসের মধ্যে দিয়ে একটি ছোট্র অধ্যায়ের। সর্বশেষ ১৫ আগস্ট জাতিয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানেও তার সংগঠন নিয়ে জাতির পিতার মুর্যারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে রিকো।
এই একটি অকাল মৃত্যু অনেককেই হতাশ করে। ভাষা হারিয়ে ফেলে কুষ্টিয়ার সামাজিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সকল কর্মীরা। সবার পরিচিত এই ছোট ছেলেটির অনাকাঙ্খিত প্রয়াণে সবার বুকের মাঝেই একটি হাহাকার সৃষ্টি হয়। সকালেই তার বাড়িতে ছুটে যার সম্মিলিত সামাজিক জোটের আহবায়ক ড. আমানুর আমান, সমন্বয়ক মুহাইমিনুর রহমান পলল, সিনিয়র সংগঠক ও এনডিএফ বিডির কুষ্টিয়া জোন প্রধান শামীম রানা সহ অসংখ্য নেতা কর্মী।
তরুণ এই সংগঠক ও সংস্কৃতিকর্মীর মৃত্যুতে কুষ্টিয়ার সুশীল সমাজ, সেচ্ছাসেবী ও সামজিক সংগঠন, রাজনৈতিক অঙ্গন, গণমাধ্যমসহ রিকো’র নিজ এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানানো হয়।
Leave a Reply