December 21, 2024, 10:24 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মথুরাপুর থেকে জুনিয়াদহ ১৭৬২ মিটার পাকা সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের কারণে এলাকা বাসি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
জানা যায় কয়েকবছর ধরে একেবারে ব্যবহারের অনপযোগী হয়ে যাওয়া সড়কটি কাজ অবশেষে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে শুরু হয়। এই সংস্কার কাজ পান টিটু এন্টার প্রাইজ নামক চুয়াডাঙ্গার এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এই সড়ক সংস্কারের ব্যয় ধরা হয় ৬৯,২৭,২৭৬ টাকা।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ কাজে হাত দেয়। কাজটি শেষ হবার কথা ছিল ১২ মার্চ ২০২০। কিন্তু সময় পার হলেও আজও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান । পরবর্তিতে নাসির নামে এক ঠিকাদারের কাছে কাজটি ছেড়ে দেয় টিটু এন্টাপ্রাইজ। বর্তমানে নাসির নামের এই লোকটিই কাজটি করছিল।
নাসির তার লোকজন নিয়ে গত শনিবার প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে কাদা ও পানির মধ্যে তড়ি ঘড়ি করে নি¤œ মানের ইট ও বিটুমিন দিয়ে কাজ শেষ করে। কিন্তু ফলাফল হলো হাত দিলেই সড়কের কারপেটিং উঠে আসছে । অনিয়মের কারনে এলাকার জনগণের মধ্যে খোভের সৃষ্টি হয়।
উপজেলার হোসেনাবাদ কান্দিরপাড়া গ্রামের অংশে হাতের সঙ্গে উঠে আসছে পিচ-পাথরের কার্পেটিং। এ ঘটনা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই হোসেনাবাদ স’মিল পাড়া থেকে মথুরাপুর গোহাট পর্যন্ত সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, গত শনিবার এ সড়কে পিচ-পাথরের নতুন কার্পেটিং করা হয়েছে। অথচ এখনই এর এক অংশ ধরে টান দিলে হাতের সঙ্গেই পুরো কার্পেটিং উঠে আসছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাই এটা টেনে তুলে ফেলছে।
জানাগেছে, কার্পেটিং করার আগে রাস্তায় বিটুমিন দিতে হয় কিন্তু এখানে কোন বিটুমিন ছাড়াই কার্পেটিং করা হয়েছে। যার করেন পিচ ধরে রাখা যাচ্ছেনা।
এদিকে রাস্তার কাজের অনিয়মের অভিযোগ করায় এলাকার ইয়াদ আলী নামে একজনকে হুুমকি প্রদান করেছে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন । ইিয়াদ জানান এলজিইডির নির্বাহী প্রকেীশলীর কাছে ফোনের মাধ্যমে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে দুর্বল সামগ্রী দিয়ে এমন অভিযোগ করেন। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন মটরসাইকেলে এসে বাড়িতে তার বাড়িতে যেয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয় ।
নাসির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, টিটু তার চাচা সে এবং টিটু এক সাথে কাজ করে। তিনি বলেন যে কাজটির মান নিয়ে কথা উঠেছে তা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার নিজে দাড়িয়ে থেকে কাজ করিয়ে নিচ্ছে।
উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার উদ্দিন জোর্যাদ্দার জানান, কাজ ঠিক মত হচ্ছে তার অফিসের লোকজন সব সময় কাজের সাইটে আছে, তবে কোন ত্রুটি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃষ্টির মাঝে কাজ করা যায় কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান বৃষ্টি হলে কখনো কাজ করা সম্ভব নয় । তাহলে কাজ কিভাবে হচ্ছে এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি । তবে এলাকাবাসীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, তিনি কোন ব্যক্তিকে হুমকি দেন নি।
Leave a Reply