January 3, 2025, 10:44 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
বেনাপোল হয়ে রেলকার্গোতে ভারত থেকে সবধরনের পণ্য আমদানি হবে। এতে কমে যাবে পণ্য আমদানি ব্যয় ও সময়।
ইতোমধ্যে পণ্য চালানে বেনাপোলে রেলকার্গো হ্যান্ডলিংয়ের অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে সব রকমের পণ্য ভারত থেকে সাইডডোর (পাশে দরজা বিশিষ্ট) রেলকার্গোর মাধ্যমে আনতে হবে। পূর্বে কেবল বাল্ক কার্গো যেমন পাথর, পাথর চিপস, ধান, চাল, গম রেলে আমদানি হতো। এখন থেকে সব রকমের পণ্য ট্রেনে করে আনা যাবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনার শুরুতে ২২ মার্চ থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে দু’দেশের ঊর্ধ্বতন মহল ও বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের কয়েক দফা বৈঠকে আমদানি-রফতানি চালু করার নির্দেশনা দিয়েও চালু করা যায়নি। এর পেছনে বনগাঁ ও পেট্রাপোলে ট্রাক থেকে চাঁদাবাজিকে দায়ী করা হয়।
সর্বশেষ বেনাপোল কাস্টম রেলকার্গোতে ধান বীজের একটি চালান ১০ মিনিটে শুল্কায়ন করে রেকর্ড করে। বিষয়টি এনবিআরসহ বিভিন্ন মহলের দৃষ্টিতে আসে। এমন পরিস্থিতিতে রেলকার্গোতে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দিতে বেনাপোল কাস্টম হাউজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআরকে চিঠি দেয়। এছাড়া ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশকে অনুরোধ জানায়। এরই প্রেক্ষিতে এনবিআর এ অনুমতি দিয়েছে।
সূত্র জানায়, রেলকার্গোর মাধ্যমে পণ্য আমদানির নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। ট্রেন আগমন থেকে ছেড়ে যাওয়ার লিডটাইম ন্যূনতম এক পঞ্চমাংশ। এক ওয়াগন ৪ ট্রাকের সমান পণ্য আনতে পারে। রেলকার্গোতে মিথ্যা ঘোষণার সুযোগ কম। ট্রেনে ভাড়া ট্রাকের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। আবশ্যিক পার্কিং, ট্রাকের দীর্ঘসময় অপেক্ষা ও চাঁদা নেই। দিনে ১০০ বগির একটি ট্রেনে ৪০০ ট্রাকের পণ্য আনা যায়।
রেলকার্গোতে অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে- মিথ্যা, অপঘোষণা, চোরাচালানের সুযোগ প্রায় নেই, পণ্য বোঝাই ও খোলা সরকারি জায়গাতেই হয়। ট্রাকে আনা বাণিজ্যিক পণ্যের ক্রেতা, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রাকের, বন্দরের, কাস্টমসের, সরকারি-বেসরকারি অনেককে পাহারা দিতে হবে না। চাল বীজের মতো ১০ মিনিটে রিলিজ অর্ডার ইস্যু, বেনাপোল স্থলবন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ হবে। কাস্টমস ও বন্দরে বাড়তি লোকবল ছাড়াই দ্বিগুণ পণ্য ছাড় করতে পারবে। শুল্কায়ন ও খালাস কয়েকদিনের পরিবর্তে কয়েক ঘণ্টায় হবে। আমদানি পণ্য অভিপ্রেত কম সময়ে ভোক্তার কাছে পৌঁছে যাবে।
জানা গেছে এশিয়ান হাইওয়ের ট্রানজিট করিডোরের ‘প্রথম গেটওয়ে’ বেনাপোল। ভারতের সঙ্গে এই বন্দর দিয়ে প্রতিবছর ৩০০ কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রফতানি হয়। এখান থেকে সরকার প্রতি বছর সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকে। শুন্যরেখা থেকে বেনাপোল রেলস্টেশন পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রেলপথ বেনাপোল বন্দরের মধ্য দিয়ে এসেছে। এখানে সামান্য ভূমি উন্নয়ন করলে রেল কন্টেইনার হ্যান্ডলিং উপযোগী হবে। বেনাপোল বন্দরের প্রায় ১০০ একর জায়গার মধ্যে ২০ একর জায়গা আছে যা হেভি কম্পেকশনসহ ৪০ ফুট লোড কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার উপযোগী।’
Leave a Reply