December 22, 2024, 2:13 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কোরবানির ঈদ একেবারেই আসন্ন। ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ছাগলের হাট বলে পরিচিত মেহেরপুরের বারাদী ছাগলের হাট। ঈদ ছাড়াও বছরজুড়ে সপ্তাহের শনি ও বুধবার বসে থাকে এ হাট। এই হাটে সাধারণত বিখ্যাত মাংসের ব্রান্ড ’বø্যাক বেঙ্গল’ জাতের ছাগল বিক্রি হয়ে থাকে।
সরেজািমনে দেখা যায় কোরবানির বাজারে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মেহেরপুরের ছাগল কিনতে বিগত দিনের মতোই ব্যাপারীদের ভিড়। স্থানীয় জেলাগুলোর ক্রেতাদের পাশাপাশি এই হাটে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহী, ফরিদপুর, রাজবাড়ি ও সিলেট থেকে ব্যাপারীরা এসে থাকেন। এবারও এসেছেন তারা। ছাগল ব্যবসায়ীরা ছাগল কিনে ট্রাক বোঝাই করে ছাগল নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন জেলায়।
হাট কতৃপক্ষ বলছে, মেহেরপুর জেলাতে পশু হাট হিসাবে সর্বপ্রথম বারাদী ছাগলের হাট প্রতিষ্ঠিত হয়। যার বয়স শত বছর পেরিয়ে গেছে। বাড়াদি ছাগল হাটের পর জেলায় মেহেরপুর, গাংনী ও বামন্দীতে গরু-ছাগলের হাট প্রতিষ্ঠা করা হলেও বারাদী ছাগল হাট একই রকম রয়ে গেছে ক্রেতাদের কাছে।
জাত ভেদে ৮ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাঁকানো হচ্ছে ছাগলের দাম। তবে হাটে বø্যাক বেঙ্গল ছাগলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংকর জাতের ছাগল এসেছে বাজারে। এগুলো হলো তোতাপুরী, হরিয়ানা এবং বিভিন্ন সংকর জাতের ছাগল নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। পাশাপাশি কিছু ভেড়ারও দেখা মিলেছে।
হাটের ইজারাদার ইসরাফিল জানান, এখানে প্রতি হাটে তিন থেকে চার হাজার ছাগল আমদানি হয়। বুধবার (১২ জুন) প্রায় ৬ হাজার ছাগল আমদানি হয়েছে।
স্থানীয় ছাগল ব্যবসায়ী মতিউর রহমান লাল্টু জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রচুর পরিমাণ ছাগল আমদানি হয়েছে হাটে। তিনি জানান, তারা প্রায় ৫০’র বেশী ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা বিভিন্ন গ্রাম এলাকা থেকে ছাগল কিনে এই হাটে বাইরের ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করে তাকেন। লাল্টু জানান, এবার বাইরের ব্যাপারী বেশি এসেছে। এজন্য তুলনামূলকভাবে দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলা থেকে হাটে এসেছেন শামসুর রহমান বাবু। তিনি বলেন, ছাগলের আমদানি বেশি হলেও দামও বেশী। তার মতে, বেশীরভাগ ছাগল বাইরের জেলাগুলোতে যাচ্ছে। বাইরে থেকে ব্যাপারী আসার কারনেদাম বেড়ে গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারিছুল আবিদ বলেন, এবার মেহেরপুর জেলায় কোরবানিযোগ্য ছাগলের চাহিদা ৫০ হাজারের কিছু বেশি। তবে জেলায় কোরবানি উপযোগী ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮০টি। তিনি জানান, এবারও ছাগলের রোগ-ব্যাধীও কম ছিল। ছাগলগুলো ব্যাপারীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রাান্তে চলে যাচ্ছে।
Leave a Reply