December 22, 2024, 3:18 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
নতুন কারিকুলামের শিখনঘন্টার গুরুত্বের কারনেই রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হচ্ছে। এমন তথ্য দিচ্ছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীও জোরারোপ করেছেন বিষয়টির উপর। যার কারনে তিনিও উচ্চ আদালতের রায় পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার পক্ষে মত দিয়ে আসছিলেন।
শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ২১ মার্চ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৫ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকছে। এছাড়া মাদরাসায় ২১ মার্চ এবং কলেজে ২৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে ক্লাস।
জানা গেছে, বছরের শুরুতে ঘোষিত ছুটির তালিকায় পুরো রমজানজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ছিল।
এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন ‘নতুন কারিকুলাম মুখস্তনির্ভর নয়। আগে দেখা যেত, ছুটির মধ্যে শিক্ষার্থীদের কয়েক অধ্যায় পড়া দিয়ে দিতেন শিক্ষকরা। সেসব অধ্যায় নিয়ে ক্লাস হোক বা না হোক, ওইসব অধ্যায় পড়ানো শেষ বলে ধরে নেওয়া হতো। বছর শেষে অধ্যায়গুলো থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষাও হতো। নতুন কারিকুলামে বিষয়টি উল্টো। শিক্ষার্থীরা প্রতিটি অধ্যায় পড়বে, হাতে-কলমে শিখবে এবং তখনই মূল্যায়ন হবে। এজন্য নতুন কারিকুলামে শিখনঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিখনঘণ্টা পূরণে বছরের নির্দিষ্ট সময় স্কুলে ক্লাস চালাতেই হবে। বাৎসরিক ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে বছরের প্রায় ১৫০ দিন এমনিতেই স্কুল বন্ধ থাকে। ষান্মাসিক ও বার্ষিক মূল্যায়নের সময় বাদ দিলে যে দিনগুলো থাকবে, তা শিক্ষার্থীকে শেখানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই ছুটি কমিয়ে শিখনঘণ্টা পূরণের চেষ্টা করছে সরকার।’
তারা বলছেন ‘নতুন কারিকুলামে যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের শেখাতে বছরে অন্তত ১৮৫ কর্মদিবস প্রয়োজন। এজন্য ছুটি বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শিখনঘণ্টা ঠিক রাখতে হবে। আমরা আগামী বছরের শুরুতে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপঞ্জিকা তৈরি করবো।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ানো হয়। প্রথম বছর পাইলটিং হিসেবে ধরা হয়। এবার প্রাথমিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিকের অষ্টম-নবমে এ শিক্ষাক্রম পড়ানো হবে। সবমিলিয়ে সাত শ্রেণিতে পূর্ণরূপে নতুন কারিকুলামে পাঠদান ও মূল্যায়ন হবে। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের বাইরে তথ্য সংগ্রহসহ নানান কারণে আগের চেয়ে বেশি সময় প্রয়োজন।
বর্তমানে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন। শুধু সাপ্তাহিক ছুটিতেই বছরে ১০৪ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ফলে শিখনঘণ্টা ঠিক রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ১৮৫ দিন বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতেই হবে।
তাছাড়া বর্তমানে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন। শুধু সাপ্তাহিক ছুটিতেই বছরে ১০৪ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ফলে শিখনঘণ্টা ঠিক রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ১৮৫ দিন বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতেই হবে। শিখনঘণ্টা ঠিক রাখতে বাড়তি সময় হিসাবে ধরে শিক্ষাপঞ্জিকা করার পথে হাঁটছে শিক্ষা প্রশাসন।
Leave a Reply