December 22, 2024, 4:05 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাতে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে সড়কে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতিও। তাছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যথাসময়ে আসতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে, নাশকতা
সরেজমিনে কাঁটাবন, বাটা সিগন্যাল, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, আজিমপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সড়কে মানুষ ও গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের মতো। এসব এলাকায় অবরোধের তেমন কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। বাস, মিনিবাস, লেগুনা, সিএনজির পাশাপাশি চলাচল করতে দেখা গেছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও স্টাফ বাস। এছাড়াও জরুরি খাদ্য পরিবহন, ওষুধ সরবরাহসহ জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন গাড়িকে সামনে ব্যানার লাগিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
রবিউল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, সাভারে একটি ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরি করি। প্রতিদিন এখান থেকে সকাল বেলা রওনা করে পৌঁছে যাই। অবরোধ শুরুর পর কয়েকদিন বাস কম চলাচল করেছিল। সকালে বাসে উঠতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। তবে এখন আর তেমনটি নেই। স্বাভাবিক সময়ের মতোই বাস আসছে। আর আমাদেরও ভোগান্তি হচ্ছে না। তারপরও মানুষের মনে তো একটি আতঙ্ক রয়েছেই। অবরোধ হোক আর হরতাল হোক, সাধারণ মানুষকে কর্মের তাগিদে বাইরে বের হতেই হবে।
সাব্বির আহমেদ নামের ঢাকা সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, অবরোধের শুরুর দিকে ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকলেও এখন বেড়েছে। প্রথম দিকে একটা আতঙ্ক কাজ করেছিল, এখন সেটি নেই। তাছাড়া মর্নিং শিফটে আমরা যারা ক্লাস করি তাদের জন্য এমন অবস্থা খুবই স্বাভাবিক। প্রায় সময়ই সকালে বাস কম থাকে। আর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাড়িই আশপাশ হওয়ার কারণে রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল রাইডেই কলেজে আসে।
অন্যদিকে, অবরোধ ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে এবং গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে নিউমার্কেট থানা, ধানমন্ডি মডেল থানার পাশাপাশি সড়কের উভয় পাশেই অবস্থান নিতে দেখা গেছে ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গনি সাবু বলেন, অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। মানুষজন স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এই এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি যেন না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
অবরোধের সমর্থনে এখন পর্যন্ত এ এলাকায় কোনো ধরনের কর্মসূচি হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। আর আজ থেকে শুরু হলো চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাতে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে সড়কে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতিও। তাছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যথাসময়ে আসতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে, নাশকতা
সরেজমিনে কাঁটাবন, বাটা সিগন্যাল, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, আজিমপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সড়কে মানুষ ও গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের মতো। এসব এলাকায় অবরোধের তেমন কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। বাস, মিনিবাস, লেগুনা, সিএনজির পাশাপাশি চলাচল করতে দেখা গেছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও স্টাফ বাস। এছাড়াও জরুরি খাদ্য পরিবহন, ওষুধ সরবরাহসহ জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন গাড়িকে সামনে ব্যানার লাগিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
রবিউল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, সাভারে একটি ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরি করি। প্রতিদিন এখান থেকে সকাল বেলা রওনা করে পৌঁছে যাই। অবরোধ শুরুর পর কয়েকদিন বাস কম চলাচল করেছিল। সকালে বাসে উঠতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। তবে এখন আর তেমনটি নেই। স্বাভাবিক সময়ের মতোই বাস আসছে। আর আমাদেরও ভোগান্তি হচ্ছে না। তারপরও মানুষের মনে তো একটি আতঙ্ক রয়েছেই। অবরোধ হোক আর হরতাল হোক, সাধারণ মানুষকে কর্মের তাগিদে বাইরে বের হতেই হবে।
সাব্বির আহমেদ নামের ঢাকা সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, অবরোধের শুরুর দিকে ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকলেও এখন বেড়েছে। প্রথম দিকে একটা আতঙ্ক কাজ করেছিল, এখন সেটি নেই। তাছাড়া মর্নিং শিফটে আমরা যারা ক্লাস করি তাদের জন্য এমন অবস্থা খুবই স্বাভাবিক। প্রায় সময়ই সকালে বাস কম থাকে। আর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাড়িই আশপাশ হওয়ার কারণে রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল রাইডেই কলেজে আসে।
অন্যদিকে, অবরোধ ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে এবং গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে নিউমার্কেট থানা, ধানমন্ডি মডেল থানার পাশাপাশি সড়কের উভয় পাশেই অবস্থান নিতে দেখা গেছে ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গনি সাবু বলেন, অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। মানুষজন স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এই এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি যেন না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
অবরোধের সমর্থনে এখন পর্যন্ত এ এলাকায় কোনো ধরনের কর্মসূচি হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। আর আজ থেকে শুরু হলো চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ।
Leave a Reply