December 22, 2024, 3:01 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
প্রায় তিন বছর পর আরও একটি রের্কড বৃষ্টি প্রত্যক্ষ করলো কুষ্টিয়াবাসী। বৃষ্টিতে ডুবে থাকলো পুরো শহর বেশ কয়েক ঘন্টা। দুপুরের পরে কিছু এলাকা পানিমুক্ত জলেও রাত পর্যন্ত অনেক এলাকা ডুবে ছিল পানিতে। শনিবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য মতে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২১ সালে বৃষ্টি হয়েছিল ৫৪ মিলিমিটার ও ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ৬৭ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অপারেটর বাবলুর রহমান জানান, রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০৫ মিলিমিটার, যা প্রায় সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।
বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার, কোর্টপাড়া, কালিশংকরপুর, কাটাইখানা মোড়, র্যাব গলি, মাহাতাব উদ্দীন সড়ক, কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, প্রধান ডাকঘর, আড়ুয়াপাড়া, কলেজ মোড়সহ হাউজিং এলাকার কিছু জায়গার সড়ক জলাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। অনেক বাসাবাড়ির নিচতলা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরেও বৃষ্টি পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
টানা ভারী বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমির মাষকালাই এবং ১৫ থেকে ২০ হেক্টর জমির বেগুন, মরিচ, টমেটো, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজসহ বিভিন্ন শাকসবজির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যাপক পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এখনো হচ্ছে। নালা দিয়ে পানি বের হতে একটু সময় লাগছে। তবে বৃষ্টি কমে গেলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহরে জলাবদ্ধতা কেটে যাবে।
এদিকে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কুমারখালী পৌরসভার শতাধিক পরিবার। স্কুল, কলেজ, খেলার মাঠ, সড়ক ও উপজেলা পরিষদ চত্বর হয়েছে প্লাবিত। এতে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। এ পৌরসভার মেয়র এ ব্যাপারে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ পৌরবাসীর।
কুমারখালী আদর্শ মহিলা কলেজের এক শিক্ষক জানানম কলেজের প্রবেশমুখ ও মাঠে পানি জমে আছে। বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীরা আসতে চায় না। পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা মানিক হোসেন, বাড়ির আশপাশে পানিতে থই থই করছে। শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
Leave a Reply