December 23, 2024, 10:19 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় দুই হাজার শিক্ষকের শুণ্য পদে নিয়োগ আসছে। ঈদের পরই হতে পারে বিজ্ঞপ্তি। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদের নিয়োগ দেয়া হবে দেশের পার্বত্য অঞ্চল, উপকূলীয় এলাকা, চরাঞ্চল সহ সারাদেশে উপজেলা সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে।
সূত্রটি জানায় সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই হাজারের মতো শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। জেলা পর্যায়ে এ সংখ্যা আরও বেশি। তবে কোথায় কতজন শুণ্য রয়েছে সে তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে জেলা পর্যায়ে।
মাউশি থেকে জানা যায়, দেশে ৩৫১টি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল আছে। এসব স্কুলে সহকারী শিক্ষকের পদে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। সহকারী শিক্ষকের পদ সাড়ে ১২ হাজার। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার পদ শূন্য। প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জন শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। সবশেষ ২০২২ সালে সরকারি মাধ্যমিকে দুই হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এসব শিক্ষককে শহর অঞ্চলে পোস্টিং দেওয়ায় সমস্যা কমার পরিবর্তে আরও বেড়েছে। ফলে সরকারি মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
মাউশি জানায়, ২০২১ সালের ৩০ জুন সরকারি মাধ্যমিকের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষককে নবম গ্রেডে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র শিক্ষক করা হয়। পিএসসির মাধ্যমে যিনি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করছেন তার পদও নবম গ্রেড। মূলত সিনিয়র শিক্ষক পদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের গ্রেড একই হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি আটকে আছে। সে কারণে শিক্ষক পদোন্নতির নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
এদিকে, সহাকারী শিক্ষকরা জানান, সরকারি মাধ্যমিকের সংকট সমাধানে একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর স্থাপন করা প্রয়োজন। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ না থাকায় মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হয়েও চাকরি বদল করছেন।
তারা জানান, চলতি বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে নতুন পাঠ্যপুস্তক ও শিখন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন কারিকুলামে শিক্ষকদের ভূমিকা অনেক বেশি রাখতে হচ্ছে। অথচ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকায় সেটি ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক সংকট থাকায় এক বিষয়ের শিক্ষক অন্য বিষয়ে পাঠ দিচ্ছেন। গণিতের শিক্ষক বাংলা পড়ান, ধর্মের শিক্ষক ইংরেজি পড়াচ্ছেন। শিক্ষক সংকট অব্যাহত থাকলে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন অসম্ভব বলে মনে করেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সারাদেশের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক শূন্যপদের সংখ্যা জুন মাসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। এ তালিকা পাওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পিএসসিতে পাঠানো হবে। আগস্টের মধ্যে দুই হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
Leave a Reply