December 22, 2024, 7:42 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
তিনদিনের আলোচনার পর কোন পক্ষেরই কোন দাবি-দাওয়ার সুরাহা ছাড়াই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে কুষ্টিয়া-খুলনা ও কুষ্টিয়া ফরিদপুর রুটে ডাকা অনির্দ্দিষ্ট কালের বাস ধর্মঘট। ইতোমধ্যে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। কুষ্টিয়া জেলা পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। বৈঠকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। উভয় জেলার বাসমালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হাসান আবুল ফজল সেলিম জানান দাবি-দাওয়া নিয়ে উভয় পক্ষ থেকে যেসব বিষয়গুলো উঠে এসেছে সেসব নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি বৃহত্তর স্বার্থে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়ার অনুরোধ করা হলে উভয় জেলার নেতারা সম্মত হন।
তবে ধর্মঘটের যৌথ ঘোষণার কথা থাকলেও ঝিনাইদহ জেলা বাস মালিক বা শ্রমিক নেতারা এসব নিয়ে কোন কথা বলেন নি। তারা বলেছেন ধর্মঘট ডেকেছে যারা তারা প্রত্যাহারের ঘোষনা দিলেই সেটি ভাল কার্যকর হয়।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে। সাধারণ জনগনের স্বার্থ কে সর্বাগ্রে বিবেচনা করে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগনের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কাজ করা যাবে না।
তিনি বলেন আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্মঘটও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন উভয় পক্ষ অচিরেই আলোচনা করে সকল বিবাদ মিটিয়ে নেবেন।
ধর্মঘট তুলে নেয়ার ঘোষনার পরপরই সরব হয়ে উঠে কুষ্টিয়া মজমপুর বাসস্ট্যান্ড ও কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বািস টার্মিনাল। দুটি রুটেই বাস চলাচল শুরু হয়।
গত শুক্রবার সকাল থেকে কুষ্টিয়া-ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া-খুলনা রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে কুষ্টিয়অ বাস মালিক-শ্রমিকরা।
এতে ঝিনাইদহ, যশোর ও খুলনাগামী যাত্রীদের দুর্ভোগে এখন চরমে উঠে। ধর্মঘটের পলে খুলনা ও ফরিদপুর থেকে যাত্রীরা সরাসরি কুষ্টিয়া আসতে পারছি্েযলন না। তাদেরকে ঝিনাইদহ এসে সেখান থেকে ভিন্ন পন্থায় কুষ্টিয়া পৌঁছাতে হচ্ছিল। এতে সময় অর্থ দুটোই বেশী অপচয় হচ্ছিল। তারপর ছিল বাড়তি ভোগান্তি। গরম ও রোযা বিষয়টিকে আরও যন্ত্রনাকাতর করে তুলে।
বাসের ট্রিপ বাড়ানোকে কেন্দ্র করে বৈঠকে কুষ্টিয়ার বাস শ্রমিকদের মারধরের জের ধরে কুষ্টিয়া থেকে ডাকা হয় ‘ধর্মঘট’।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, সমস্যা সৃষ্টি হয় ঝিনাইদহে। ঝিনাইদহ মোটরশ্রমিক নেতারা কুষ্টিয়া-ফরিদপুর রুটে তাদের জন্য বাসের নতুন ট্রিপ চেয়ে আসছিলেন কুষ্টিয়া বাস মালিকদের কাছে। এটা নাকচ করে দেন কুষ্টিয়া বাস মালিকরা। পরে ঝিনাইদহ বাস মালিকরা কুষ্টিয়ার কোন বাস ঝিনাইদহের উপর দিয়ে খুলনা যেতে না দেয়ার হুমকি দিলে বিষয়টি নিয়ে উভয় জেলার বাস মালিক ও শ্রমিক নেতারা বৈঠকে বসেন।
৫ এপ্রিল ঝিনাইদহে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে কুষ্টিয়ার বাসের স্টাফদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমন অবস্থায় পরিবহন সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বাসশ্রমিক, মালিক গ্রুপ উভয় মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৭ এপ্রিল থেকে ধর্মঘট ডেকে দেয়।
Leave a Reply