December 22, 2024, 8:27 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
রুটে বাস চলাচলের ট্রিপ বৃদ্ধির দাবির দ্ব›েদ্ব বন্ধ হয়ে যাওয়া খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের অচলাবস্থা এখনও নিরসন হয়নি। শুক্রবার ডাকা বাস ধর্মঘট এখনও অব্যাহত। আজও (শনিবার) খুলনা থেকে ছেড়ে আসা কোন বাস কুষ্টিয়া পর্যন্ত আসেনি। বাসগুলো ঝিনাইদহ পর্যন্ত আসছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) থেকে ভোগান্তিতে রয়েছেন কুষ্টিয়াগামী সাধারণ যাত্রীরা।
কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আক্তারুজাজামান বলছেন সমস্যার শুরু হয়েছে ঝিনাইদহ থেকে। তাই সমস্যার সমাধান তাদেরকেই করতে হবে।
তিনি বলছেন, খুলনা রুটে চলাচলকারী ৩৬টি গাড়ির মধ্যে ১৫টি গাড়িই ঝিনাইদহের মালিকদের। তিনি জানান কুষ্টিয়া জেলার হাইওয়ে কম। পূর্বে খোকসা, পশ্চিমে খলিসাকুন্ডি ও ভেড়ামারা লালনশাহ্ ব্রিজ এবং দক্ষিণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট। এরপরও সাধারণ স্বার্থে তারা মেনে নিয়ে পরিবহন চালিয়ে আসছিলেন।
তিনি জানান হঠাৎই ঝিনাইদহের বাস মালিকরা ঝিনাইদ-খুলনা রুটে তাদের জন্য আরো ট্রিপ বৃদ্ধির দাবি বসেন। তিনি জানান এমনকি তারা বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মালিকানাধীন বাসের জন্য কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুর রুটেও নতুন ট্রিপ চাচ্ছেন। তখন কুষ্টিয়া বাধ্য হয়েই ফরিদপুর রুটে ট্রিপ বৃদ্ধি দাবি করে।
তিনি আরও বলেন দাবি না মানায় ৩ এপ্রিল থেকে ঝিনাইদহের মটর-শ্রমিকরা কুষ্টিয়ার বাস ওই জেলার উপর দিয়ে চলতে দিবে না বলে ঘোষণা দেয়।
তিনি বলেন “তাদের দাবি মানলে তো আমাদের বাস গুটিয়ে ঘরে বসতে হবে।”
তিনি জানান তবুও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সভায় বসা হয়। সেখানেই বাসের স্টাফদের মারধর করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমরা বাস ধর্মঘটের ডাক। তিনি জানান মারধরের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত তারা সড়কে ফিরবেন না।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্বীকার করেন ট্রিপ বৃদ্ধির দাবির বিষয়টি। তবে তিনি নিরসন সভায় মারধারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
য় গত ৫ এপ্রিল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস মালিকরা বৈঠক করেন। তাতে কোনো সমাধান হয়নি। ট্রিপ না দেয়ায় কুষ্টিয়া বাস-মিনিবাস শ্রমিক নেতারা ফরিদপুর ও খুলনা রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে সীমাহিন ভোগান্তিতে পড়েছেন এই রুটের যাত্রীরা। সকালে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর বাস ডিপো থেকে বিভিন্ন রুটে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ভিড় করলেও যানবাহন না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছেন। পরে ভিন্ন পন্থায় বেশী খরচ সাপেক্ষে অনেকে নিজ নিজ গন্তব্যে যাত্রা করলেও সাধারণ মানুষ কোন উপায় পাচ্ছেন না।
ফরিদপুরগামী হারুনুর রশীদ রুহুল জানান, তিনি পরিবার নিয়ে ফরিদপুর যেতে শুক্রবার কুষ্টিয়া বাস টার্মিনালে আসে। শনিবারও এসেছেন। কিন্তু কোন উপায় নেই। অধিক পয়সা ব্যয়ের সামর্থ্যও তার নেই।
খুলনা গামী সালেহ হোসেন জানান জনসাধারণকে জিম্মি করে এসব ধর্মঘট করা অযৌক্তিক।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান প্রশাসন চেষ্টা করছে বিষয়টি নিরসন করার।
Leave a Reply