December 22, 2024, 1:08 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর ‘নির্যাতনের’ ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক একটি তিন সদস্যের কমিটি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
রবিবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও বিশ^বিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আনুষ্ঠানিক পত্র পাওয়ার পর রবিবার বিকেলেই কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
হাইকোর্টের নিদের্শনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন হতে রবিবার বিকেলে বিশ^¦বিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একজন সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষকের নাম চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিশ^বিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলমের নাম প্রেরণ করেছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান তিনি একজন শিক্ষকের নাম জেলা প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করেছেন।
অন্যদিকে, জেলা জজশিপ থেকে একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নাম প্রেরণ করেছে। জেলা প্রশাসন একজন এক্্িরকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রটি জানায় রবিবার রাতেই কমিটি গঠিত হয়েছে এবং সদস্যদের কাছেও পত্র প্রেরণ করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান তিনি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশিত পথে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
ইতোমধ্যে গত শনিবার দুটি তদন্ত কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন শিকার সেই শিক্ষার্থী।
শনিবার ঐ ছাত্রীকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ক্যম্পাসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বিশ^বিদ্যালয় কতৃক গঠিত সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে মেয়েটি বক্তব্য তার বক্তব্য পেশ করেছে।
ভুক্তভোগী ঐ মেয়েটি শিক্ষার্থী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২০২২ বর্ষের শির্ক্ষাথী। মেয়েটি অনাবাসিক শিক্ষার্থী।
অভিযোগ থেকে জানা যায় ঐ ছাত্রীর হলে কোন সিট না থাকায় তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর দিনে দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রীর রুমে উঠেন। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয় কতৃপক্ষ দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি মেয়েটিকে ক্যাম্পাসে আসার জন্য আহবান জানায়।
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর শাহাদাৎ হোসেন আজাদ জানান মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের আলোকে তদন্তের স্বার্থে তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিয়ে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়।
এ দুটি কমিটিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রির্পোট হাইকোর্টে জমা দিতে নিদের্শ দেয়া রয়েছ্ে
প্রক্টর প্রফেসর শাহাদাৎ হোসেন আজাদ জানান মেয়েটির বক্তব্য দানের পর তাকে পুলিশ প্রহরায় তাকে তার ইচেছ অনুযায়ী কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এসময় পুলিশ টিমের সাথে ছিলেন সহকারী প্রক্টর জয়স্রী সেন।
প্রক্টর জানান এরপরও যদি কোন তদন্ত কমিটির মনে মেয়েটির সাথে আরো কথা বলা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন গঠিত কমিটি গঠনের দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টকে রির্পোট জমা দেবে।
Leave a Reply