February 5, 2025, 5:47 pm
এস আই সুমন/
পদ্মা নদীতে এখন অথৈ জলরাশি। নদীতে ছোট ছোট নৌকায় পাল তুলে পদ্মার রুপালী ইলিশ ধরতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে মাঝীরা। পানির কলকল শব্দে চারিদিকে এক অন্য জগৎ। নির্মল বিশুদ্ধ খোলামেলা বাতাস। চারিদিকে সবুজে ঘেরা কাশ বন মাথায় এক গুচ্ছ সাদা ফুল বাতাসে দুলছে।
অথৈ জলরাশি থেকে পাশ বেয়ে বয়ে চলেছে গড়াই নদী। বাংলার এক অপরুপ সৌন্দর্য খুব সহজেই উপভোগ করার মতো। এ যেনো এক সাগর কন্যা, গরীবের কক্সবাজার। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে উপভোগ্য এক অপরুপ সৌন্দর্যের লীলা ভূমি।
হ্যাঁ বলছিলাম। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের পদ্মা গড়াই মোহনার কথা ; বহু কালের সাক্ষী নদী বেষ্টিত শান্তি প্রিয় এই জনপদের কথা। শহরের যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল থেকে কিছুটা সময় পরিবারের সকলকে নিয়ে মুক্ত বাতাস আর অপরুপ সৌন্দর্য দেখার সুযোগ রয়েছে এখানে। সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা ছুটির দিন পড়ন্ত বিকালের গোধূলি লগ্নে অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভীড় দেখার মতো। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা সকল বয়সী মানুষদের পদচারণায় মূখরিত হয় পদ্মা গড়াইয়ের মোহনা। এমন সৌন্দর্য দেখতে আসায় হরিপুরের সুনাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষদের সুস্থ বিনোদনের অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছে পদ্মা গড়াইয়ের মোহনা। এই সৌন্দর্য দেখতে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীদের আগমনে ঐ এলাকায় তৈরি হয়েছে অসংখ্য দেকান-পাট। সৃষ্টি হয়েছে ব্যভসা-বাণিজ্য-কর্মসংস্থান।
কিন্তু এই অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে আসার যে একমাত্র সড়কটি সেটির বেহাল দশা চরম পর্যায়ে পৌঁচেছে। নৌবাহিনীর তত্বাবধানে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বøক দিয়ে নদী রক্ষা বাঁধ করা হলেও পদ্মা গড়াই মোহনায় চলাচলের জন্য রাস্তার কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। যদিও বিকল্প পন্থা হিসেবে সরু রাস্তা রয়েছে সেটা ভাঙ্গা। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে কাদায় পরিণত হয় যা পদ্মা গড়াই মোহনায় বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য চরম অস্বস্তিকর। কারন এই কারনে সেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট খাটো দূর্ঘটনা। ফলে দিন দিন বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে।
মিরপুরের আমলা থেকে পরিবার নিয়ে পদ্মা গড়াইয়ের মোহনায় বেড়াতে আসা একজন দর্শনার্থী গোলাম কিবরিয়া মাসুম জানান, দুই মেয়ে আর পরিবারের সকলকে নিয়ে ছুটির দিনে প্রায়ই বেড়াতে আসেন তিনি। এতো সুন্দর অপরুপ সৌন্দর্য পরিবারের সকলকে নিয়ে উপভোগ করার মতো। পদ্মা গড়াই মোহনার কোল ঘেষে নদী রক্ষা বাঁধ করা হলেও রাস্তা না থাকায় চলাচলের খুব সমস্যা হচ্ছে। এই সৌন্দর্য দেখতে আসা দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করা না হলে এই সৌন্দর্য দেখতে আসা দর্শনার্থীদের সংখ্যা কমতে থাকবে।
স্থানীয় কয়েকজন দোকানী জানান, এখানে ঘুরতে আসা মানুষদের জন্যই তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার নিয়ে দুমুঠো ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে আছেন।
তারা জানান রাস্তার ব্যবস্থা করা না হলে মানুষ জন বেড়াতে না আসলে তারা নিরুপায় হয়ে পড়বেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হাজার হাজার দর্শনার্থীদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব পদ্মা গড়াই মোহনায় চলাচলের জন্য রাস্তার ব্যবস্থা করা হোক।
Leave a Reply