December 22, 2024, 12:40 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
রবীন্দ্রনাথ একটি সমগ্র সত্তার নাম। তাই সমগ্র রবীন্দ্রনাথকে ধারন করলে মানবমুক্তির অনেক জয়গান উপলব্ধি করা যায়। কটি সমগ্র রবীন্দ্রনাথকে ধারন করার আহবানের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ায় ৩ দিনের রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহে তিনদিনের জাতিয় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটেছে। গত ৮ মে জাতিয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী তিনদিনের এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন।
সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন এনডিসি। স্মারক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা।
সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। আলোচক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরওয়ার মুর্শেদ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত চিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মুন্সী মনিরুজ্জামান, কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, বিএমএ কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক ডা. আমিনুল হক রতন, দিশার নির্বাহী পরিচালক রবিউল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মৃণাল কান্তি দে।
বক্তারা বলেন বাংলা সাহিত্যের মাধ্যমে রবীন্দ্র নাথের সাথে বাঙালীর যে সর্ম্পক তৈরি হয়েছে সেটা খুবই আবেগের ও একই সাথে জীবন ঘনিষ্ঠ। এই সর্ম্পক অবিভাজ্য। অটুট থাকবে যুগ-কাল ধরে।
বক্তারা মনে করেন রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতা এক সৌকর্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় উপনীত হয় গ্রামীণ বাংলার লোকসঙ্গীতের লোকজ ধারার বিচিত্র প্রভাবে। এই শিলাইদহ চরমভাবে রবীন্দ্রনাথকে সৃষ্টি হতে সহায়তা করেছিল। এখানে তার আগমনের ফলে এই সময় লালন শাহ সহ বাংলার বিশিষ্ট বাউল সংগীতস্রষ্টাদের সান্নিধ্যে আসেন কবি। এসময় বাউল সংগীতকে পুনরাবিষ্কার করে জনপ্রিয় করে তুলতে রবীন্দ্রনাথ যেমন বিশেষ ভূমিকা নেন যে গানে উনিশ শতকের কর্তাভজাদের গানের মতো অন্তর্নিহিত দৈবসত্ত্বার অনুসন্ধান ও ধর্মীয় ও সামাজিক গোঁড়াামির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কথা ছিল। অন্যদিকে তিনিও শিলাইদহে অবস্থানকালে তার গীতিকবিতার জন্য একটি শব্দবন্ধ তিনি গ্রহণ করেন বাউল পদাবলি থেকে – মনের মানুষ। ধ্যান করেন তার জীবন দেবতার। প্রকৃতি ও মানবচরিত্রের আবেগময় নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এই যোগসূত্রটি পরমসত্তার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ভানুসিংহের নামাঙ্কিত কবিতাগুলিতেও কবি এই শৈলীর ব্যবহার ঘটান। এই সময়টি ছিল পুরোভাবেই শিলাইদহের।
এবারের তিনদিনের অনুষ্ঠান ছিল দুইবছর করোনার কারনে বন্ধ থাকার পর প্রথম অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানকে ঘিরে রবীন্দ্রপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছাস ছিল। দুর দুরান্ত থেকে সাধারণ মানুষও এই অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করতে এসেছিল। এবার ঢাকা থেকে রেজওয়ানা চেীধুরী বন্যার মতো প্রখ্যাত রবীন্দ্র শিল্পিরা এসেছিলেন।
Leave a Reply