December 22, 2024, 7:00 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দুদকের ফাঁদে আটক সেই স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর কারাদন্ড মাহমুদ আলমকে (৫৩) কারাদন্ড দিয়েছে কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ আদালত।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন।
দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ আদায় করার অপরাধে তাকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদ আলম কুষ্টিয়া ছয় রাস্তার মোড় থানাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল বারীর ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু।
তিনি বলেন, মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি প্রকৌশলী মাহমুদ আলমকে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম সাজার আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোর ডিভিশনের আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের সংস্কারকাজ করার জন্য মেসার্স এমএম কামাল এন্টারপ্রাইজসহ ১০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। তাদের একজন ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম ১১টি প্যাকেজের কনস্ট্রাকশন কাজের ৪৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকার কাজ সম্পন্ন করেন। প্রকৌশলী মাহমুদ আলম ৬টি পারফরম্যান্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য দরখাস্ত করার সময় খাইরুল ইসলামের কাছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিলে ৬টি পারফরম্যান্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন।
এ নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জুলাই ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম দুদক সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয় বরাবর সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. আব্দুল গাফফার তাকে ধরতে ফাঁদ পাতেন। তিনি ঠিকাদার খাইরুল ইসলামকে দিয়ে সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ান। পূর্বপ্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রকৌশলী টাকা গ্রহণের সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করেন। তখন তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে থানায়।
মামলাটি দীর্ঘ সময় তদন্তের পর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ১২ এপ্রিল রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।
Leave a Reply