December 28, 2024, 12:14 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বিদ্যালয়ের মাঠে ইট, বালি খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী রাখতে না দেয়ায় এক প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক মারপিট করেছে কুষ্টিয়া পৌরসভার এক কাউন্সিলর ও তার লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রতিবাদে এবং ঐ কাউন্সিলরের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ দেখায়।
হামলাকারী ঐ পৌর কাউন্সিললের নাম আসাদুর রহমান আশা। তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক সংলগ্ন লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে পৌরসভার চলমান সিডিসির রাস্তা নির্মাণ চলছে। এই নির্মাণ কাজের ইট,বালি, খোয়া প্রভৃতি রেখে দিয়েছেন ঐ কাউন্সিলর। যদিও কথা ছিল দ্রæত কাজ শেষ করা হবে। কিন্তু প্রায় বছর হতে চললেও কাজ শেষ হয়নি। ফলে
অন্যদিকে, বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে জোরপূর্বক কাউন্সিলর আশা রাস্তার কাজের জন্য পাইপে করে পানি নেওয়া ও বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছিল।
এর ফলে ক্লাসে বিঘœ সহ শিক্ষার্থীদের চরম অসুবিধা সৃষ্টি হয়ে আসছিল।
প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান বিষয়টি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে তিনি কাউন্সিলর আশাকে ওসব সামগ্রী দ্রæত সরিয়ে নিতে বলেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন কাউন্সিলর আশা।
তিনি কয়েকজন লোকজন নিয়ে সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন এবং শিক্ষককে সরকারী উন্নয়ন কাজে বাধাসৃষ্টিকারী বলে গালাগালি করেন। এক পর্যায়ে শিক্ষককে মারধোর করেন এবং অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে এভাবে হেনস্তা করতে দেখে তাৎক্ষনিকই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। তারা বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কে অবস্থান নেয়। তারা বিক্ষোভ দেখায় এবং কাউন্সিলরের লোকজনসহ তাকে গ্রেফতারের দাবি করে।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকার অনেক মাসুষও যোগ দেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান মজনু যিনিও কুষ্টিয়া পৌরসভার বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান। তিনি জানান , কারোও অনুমতি না নিয়ে কাউন্সিলর আশা বিদ্যালয়ের মধ্যে সিডিসির রাস্তা নির্মানের সামগ্রী রেখে পরিবেশ নষ্ট করেছে এবং জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের মোটর থেকে পাইপ দিয়ে পানি নেওয়া, বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছিলো। ক্লাস চলাকালীন সময়ে খোয়া ভাঙ্গা,বালু ফেলা সহ শব্দ দুষনের কাজ করার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিষেধ করলে তার উপরে হামলা চালিয়ে অফিস কক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। এটা একটি জঘন্যতম অপরাধ।
তিনি জানান এসব বিষয়ে ঐ কাউন্সিলর এমনকি তাকেও অবহিত করার প্রয়োজন বোধ করেন নি। এজন্য তার বিচার হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলম জানান ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি জানান বিদ্যালয় কতৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের পর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
পৌর কাউন্সিলর আসাদুর রহমান আশার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান প্রধান শিক্ষকের সাথে আলাপ করেই তিনি নির্মাণ সামগ্রী রেখেছিলেন। কিন্তু “এখন তিনি উল্টো খেলেছেন।”
Leave a Reply