December 22, 2024, 7:05 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০৫টি দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশ করোনার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান মার্কের তৈরি পিল কম দামে পেতে যাচ্ছে। ওসুধের নাম মলনুপিরাভি। অ্যন্টিভাইরাল ওষুধ। এগুলো উৎপাদন করবে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারীরা।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সহযোগিতা প্রাপ্ত সংস্থা গ্লোবাল মেডিসিন পেটেন্ট পুল এ তথ্য জানিয়েছে। ইতোমধ্যে মলনুপিরাভির উৎপাদন করতে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
গত বছরের অক্টোবরে মলনুপিরাভিরের জেনিরিক উৎপাদনের জন্য গ্লোবাল মেডিসিন পেটেন্ট পুলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ও লাইসেন্স দেয়। সম্প্রতি পেটেন্ট পুল মলনুপিরাভিরের জন্য জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনকারীদের সাব-লাইসেন্স দিয়েছে।
এই সাব-লাইসেন্সের বদৌলতে প্রস্তুতকারকরা মলনুপিরাভিরের কাঁচামাল কিংবা সম্পূর্ণ ওষুধ নিজেরাই উৎপাদন করতে পারবে। এই কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ, চীন, মিশর, জর্ডান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনামে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটি কাঁচামাল উৎপাদন, ১৩টি কাঁচামাল ও মলনুপিরাভির উভয়ই উৎপাদন করবে এবং ৯টি কেবলমাত্র মলনুপিরাভির উৎপাদন করবে।
বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ভারতের ন্যাটকো ফার্মা, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাসপেন ফার্মাকেয়ার হোল্ডিংস ও চীনের ফসুন ফার্মা উৎপাদন করবে মলনুপিরাভির নামের এই বড়ি।
তবে রোগীভিত্তিক পরীক্ষায় মলনুপিরাভিরের কার্যকারিতা কম দেখা দেওয়ায় ওষুধটি নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বড়িটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। বড়িটির অনুমোদনে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে বহু দেশে সরবরাহ পৌঁছাতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
পাঁচদিনের জন্য ৪০টি বড়ির মলনুপিরাভির কোর্স নির্ধারণ করা হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোর যার দাম ২০ ডলার হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা হবে এক হাজার ৭১৯ টাকা।
নতুন চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের ১১টি দেশের ২৭টি জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে তৈরি হবে এই ওষুধ। এগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে পাওয়া যাবে মলনুপিরাভিরের কাঁচামাল। ১৩টি কোম্পানি কাঁচামাল ও ওষুধ তৈরি করবে। আর নয়টিতে শুধু ওষুধটি তৈরি করা হবে।
এমপিপি’র মুখপাত্র বলেন, চুক্তির অধীন কোনো কোনো কোম্পানি ফেব্রুয়ারিতেই মলনুপিরাভির উৎপাদন শুরু করবে। পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
ডিসেম্বরে অনুমোদনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা প্রতিরোধে বড়িটির ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু কার্যকারিতা কম থাকায় বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। কেউ কেউ ফের ক্রয়াদেশ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে।
Leave a Reply