October 30, 2024, 7:24 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ার সন্তান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) লালন শাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। কুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
মৃত্যুর ২৮ দিন পর কুয়েটের প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. আলহাজ উদ্দীন, সদস্য প্রফেসর ড. খন্দকার মাহবুব হাসান, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার দেবাশীষ বসাক এবং কেএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. শাহাবুদ্দীন।
প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
জানা যায়, প্রফেসর ড. সেলিম হোসেনকে মানসিক নিপীড়ন করার পর গত ৩০ নভেম্বর তিনি মারা যান বলে অভিযোগ করে পরিবার। পরদিন ১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়।
প্রফেসর সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৩ ডিসেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ ছাত্রকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাম্পাস বন্ধ এবং শিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
৩ ডিসেম্বর থেকে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও ৫ ডিসেম্বর থেকে তদন্ত কাজ শুরু হয়। এরপর ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় কমিটি আরও ১০ দিনের সময় চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭ দিনের সময় বেঁধে দেন।
সর্বশেষ ২৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অতিদ্রুত প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দাখিল করার জন্য বলা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। আগামী ৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হবে এবং ৯ জানুয়ারি থেকে সকল একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, শিক্ষকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি। সময় লাগবে। মামলার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা আসেনি।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আমরা স্যারের মৃত্যুর পর ৫টি দাবি করেছিলাম। তার মধ্যে প্রথম দাবি ছিল সন্দেহজনকভাবে জড়িতদের সাময়িক বহিষ্কার করা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটি করেছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এরপর শিক্ষক সমিতি সাধারণ সভার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
Leave a Reply