December 23, 2024, 2:00 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের (ইউপি) আগে জেলায় জেলায় তৃণমুল পর্যায় পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগামী ২৮ নভেম্বর এক হাজার সাতটি ইউনিয়নে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে দেশের ৮৩৪ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার। ওই ভোট ঘিরে সহিংসতায় একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ ১৩ জন নিহত হয়। নির্বাচন ঘিরে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এসব সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার জুম মিটিংয়ে এ দেশের বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় ওসিদের থানায় থাকা ‘গান রেজিস্ট্রার’ নিয়মিত পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কতজনের কাছে বৈধ অস্ত্র আছে, সে সম্পর্কে থানার অবহিত থাকার কথা। সব থানার কর্মকর্তারা এই ‘গান রেজিস্ট্রার’ পরীক্ষা করছেন না বলে মনে করছেন তারা। এ ধরনের নির্বাচনে অনেকে বৈধ অস্ত্র দেখান এবং অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরাও করেন। বিষয়গুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই থানাগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার বাইরের একাধিক পুলিশ সুপার বলেছেন, অবৈধ অস্ত্রবিরোধী অভিযান পুলিশের নিয়মিত কাজ। এর আগেও বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান হয়েছে। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্রের সন্দেহভাজন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নজির রয়েছে। সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারা আরও জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র মালখানায় জমা দেওয়ার নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে সবচে খারাপ অবস্থা খোকসা উপজেলায়। এ উপজেলার ওসমানপুর ইউয়িনে বিএনপি পন্থী সাবেক এক চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার। দুই সহযোগীসহ ক্রসফায়ারে নিহত সাবেক চরমপন্থী নেতা একদিলের জীবিত ‘এস’ অদ্যাক্ষরের এক ক্যাডারের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এই অবৈধ অস্ত্র ভান্ডার। তাকে সহযোগীতা করছে ঐ ইউনিয়নেরই সাবেক এক মেম্বর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য। ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে প্রাধান্য পেতে ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারাতে ঐ বিএনপি পন্থী সাবেক চেয়ারম্যান ঢাকা বসে নানা কলকাটি নাড়ছেন নিজ এলাকায়। ইতোমধ্যে ঐ সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে ওসমাপুর এলাকায় আওয়ামী পন্থী কয়েকটি গ্রামে প্রায় ২০ টি পরিবারের উপর নির্যাতন করে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটতরাজ করা হয়েছে।
ঐ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান অনিসুর রহমান বাবলু বিষয়টি স্বীকার করে জানান এখানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ খুব জরুরী।
জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান অভিযান চলবে। কোন প্রভাব প্রতিপত্তি দিয়ে লাভ হবে না।
100% true news.Thanks
Doinik kushtia.