December 23, 2024, 1:41 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সমস্যা কাটছেই না। একটা সমাধানের চেষ্টায় বাধ সাধছে নতুন আরেক সমস্যা। প্রতিনিদনই দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়ে যাচ্ছে শত শত যানবাহন। অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনগুলোর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি। ২-৩ দিন ধরে অপেক্ষায় থেকেও ফেরির নাগাল না পাওয়ায় ভোগান্তির শেষ নেই চালকদের।
এদিকে অব্যাহত ফেরি স্বল্পতা, ঘাট সংকটের সাথে এই ঘাটে যোগ হয়েছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপ। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে আরো।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা এসব যানবাহনগুলোর মধ্যে রাতের নৈশ কোচ এবং পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।
অপরদিকে ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও তিন কিলোমিটার এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককে আটকে রাখা হয়েছে। এসব ট্রাক দুই-তিন দিনেও ফেরির নাগাল পাচ্ছে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালকদের।
গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে থাকা ট্রাকচালক সালাউদ্দীন শেখ জানান, দুই দিন ধরে একই জায়গায় আটকে আছেন তিনি। আশপাশে খাবার হোটেল, গোসল, টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। গোসল, টয়লেট করতেও ৫০ টাকা লাগে। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করছে অন্য রুট ব্যবহার করতে। কিন্তু এখন তা সম্ভব না কারণ তেলের দাম বাড়তি। আমরা পড়েছি মহা বিপদে।
আরেক ট্রাকচালক রফিক এসেছেন যশোরের বেনাপোল থেকে। গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আটকে আছেন দুদিন ধরে। তিনি বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যখন ফেরি বন্ধ তখন কর্তৃপক্ষের উচিত এই রুটে ফেরি বাড়ানো। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। আবার অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এখানে সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। রাতে অনেকেই সিরিয়াল ভেঙে আগে চলে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন বলেন, বর্তমানে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলছে। বাকি চারটি বড় ফেরি ডকইয়ার্ডে রয়েছে। ফেরি স্বল্পতার পাশাপাশি বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপ এই রুটে পড়েছে। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
Leave a Reply