জহির রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক ইউপি সদস্যের বাড়ির ফটকের সামনে বোমা সাদৃশ্য বস্তু রেখে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা ওই কাজ করেছেন বলে দাবি ওই ইউপি সদস্যের।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মুনতাজ আলীর বাড়ির ফটকের সামনে পড়ে থাকা বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হারদি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মুনতাজ আলী জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে কুয়াশার মধ্যে দেখতে না পেয়ে ওসমানপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে শিমুল ইসলামকে (১৫) একটি মোটরসাইকেল ধাক্কায় দেয়। মোটরসাইকেল চালক আবু সাইফের বাড়ি হারদি গ্রামে। এতে শিমুলের ডান পা ভেঙে যায়। দুই পায়ে আঘাত লাগে মোটরসাইকেল চালক সাইফের। তাদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে ভর্তি করা হয়।
সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। শিমুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন তিনি। সাইফকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় সাইফের মোটরসাইকেলটি ভেঙে যায়। আমি জনপ্রতিনিধি হওয়ায় মোটরসাইকেলটি আমার হেফাজতে দেন স্থানীয়রা। ওই রাতে আহত শিমুলের ভাই রাহাত আলী, মেজো চাচা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, তার ছেলে সোহাগ ওরফে দুদু, ছোট ভাই ফারুক হোসেন, একই গ্রামের মৃত খেদ আলীর ছেলে নুর ইসলামসহ ৬-৭ জন আমাদের বাড়ি এসে মোটরসাইকেলটি জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে ফেলার কথা বললে আমি বাঁধা দেই। এক পর্যায়ে আমার পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করে হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা। পরে মোটরসাইকেলটি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।
ইউপি সদস্য মুনতাজ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম জানান, রাতে ওই ঘটনার পর কোন এক সময় আমাদের বাড়ির ফটকের সামনে একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু রেখে যায় তারা। সকালে বাজারে যাওয়ার সময় আমার বাবা সেটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ওই ঘটনায় আমাদের পরিবার খুব আতঙ্কে রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ওসমানপুর ক্যাম্প ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, ওটা কোন বোমা নয়। ভিতরে কিছু ছিল না। মূলত একটি জর্দার কৌটায় লাল টেপ জড়িয়ে ফেলে রাখা ছিল। মূলত আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ওই কাজ করেছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এখনও ওই বিষয়ে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply