December 23, 2024, 8:05 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার সকালে ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এরপরে বনানী কবরস্থানে ১৫ই আগস্টের কালরাতে নিহত সব শহীদ ও কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকেই। এ সময় ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর জাতীয় চারনেতাকে হত্যার পর দেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ উগ্র সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন করাই এখনকার চ্যালেঞ্জ। সব গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে এক হয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইবে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন করার পরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ মহানগরের প্রতিটি শাখার নেতাকর্মীরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের এ দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে জেল হেফাজতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের মতো কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত জায়গায় এ ধরনের নারকীয় হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাত্রিতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ধারাবাহিকতায় জাতীয় চার নেতাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
Leave a Reply