December 23, 2024, 10:57 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক//
কুষ্টিয়ার ৮ মাসের অন্তঃসত্তা সেই পেট্রোলদগ্ধ নারীটি সন্তান জন্মদিয়েই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। আজ (৮ মে) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঠিক পূর্ব মুহুর্তে নারীটি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানটিও ছিল মৃত।
জুলেখা, ৩৫ নামের ঐ নারীটি স্বামীসহ শহরের কমলাপুর এলাকায় নবীন প্রামানিক স্কুল সংলগ্ন ফজলুল হকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার স্বামী মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া সেন্টার এলাকার মেহেদী হাসান।
ঘটনাটি ঘটে ২৮ এপ্রিলে। সকালের দিকে জুলেখা তার বাড়ির বাইরে পাশের দুইজন মহিলার সাথে কথা বলছিলো। এমন অবস্থায় হঠাৎ করে বাড়ির মালিকের বড় ছেলে রোকনুজ্জামান রনি ঐ নারীটির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। জুলেখার আর্তচিৎকার শুনে অন্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে রের্ফাড করা হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ তাপস কুমার সরকার জানিয়েচিলেন জুলেখার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি জায়গা পুড়ে যায়।
তাৎক্ষনিক অর্থের যোগান না হওয়ায় যখন ঝুলে যায় নারীটির চিকিৎসা। ঠিক তখন এগিয়ে আসেন কুষ্টিয়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, পিপিএম(বার)। তার নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তত্ত্বাবধানে কুষ্টিয়া মডেল থানা ওসিসহ অন্যান্য অফিসারগণ সবাই প্রয়োজন মতো টাকা তুলে এম্বুলেন্স ভাড়া করে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং চিকিৎসার জন্য কিছু নগদ অর্থের ব্যবস্থা করে দেন পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ রনিকে আটক করে। মডেল থানায় মামলা হয়।
ঢাকায় চিকি’ৎসার এক পর্যায়ে গতকাল জুলেখাকে কুষ্টিয়ায় ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নারীটি মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে আজ তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পেছনের কারন উদ্ঘাটনে পুলিশ তদন্ত করে। ওসি গোলাম মোস্তফা জানান ভাড়া বকেয়ার কারনে জুলেখার সাথে বাড়ির মালিকের স্ত্রীর কথা কাটাকিিট হয়। এর এক পর্যায়ে রনির সাথে ঐ নারীটির হাতাহাতিও হয়। রনি ক্ষিপ্ত হয়ে অঘটনটি ঘটায়।
সন্ধ্যায় ওসি গেলাম মোস্তফা জানান অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেয়া হবে।
Leave a Reply