December 22, 2024, 8:50 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
জাতিয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) বয়স নিয়ে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাত আলী ও তার পুত্র মনিরুল ইসলাম। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য মতে জামাত আলীর বর্তমান বয়স ৪৪ বছর আর তার ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের বয়স ৫০ বছর। বাবার চেয়ে ছেলে ছয় বছরের বড়।
বিষয়টি শুধু হাস্যরসের জন্মই দিয়েছে তা নয় এটি সামনে আসায় এখন আটকে গেছে জামাত আলী ও তার পুত্রের এনআইডি ব্যবহার করে করতে পারা সকল কাজ।
এনআইডি অনুযায়ী, জামাত আলীর জন্ম ১৯৭৭ সালের ৪ আগস্ট। অন্যদিকে তার ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের জন্ম ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর। এ হিসেবে দেখা যায় বাবার ছয় বছর আগে ছেলের জন্ম হয়েছে। যদিও বাবা মো. জামাত আলীর প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৫১ সালের ৪ আগস্ট। এ হিসেবে তার বয়স ৭০ বছর। এনআইডিতে কমে গেছে ২৬ বছর।
জামাত আলী জানান তার প্রকৃত বয়স প্রায় ৭০ বছর। তিনি যতটুকু মনে করতে পারেন জানান এনআইডি করার সময় তিনি বয়স ঠিকই বলেছিলেন। এমনকি যখন তিনি এনআইডি হাতে পান কার্ডে কি আছে পড়েও দেখেননি।
“ভোট দিবার যায়া কোন সমুস্যা দেহি নাই, বয়স্ক ভাতা করতি যায়া ঠেলায় (বিপাকে) পড়নু,” অল্প শিক্ষিত জামাত আলী জানান।
বিষয়টি ধরা পড়ে সম্প্রতি যখন জামাত আলী বয়স্ক ভাতার আবেদন করেন। সেখানে বয়স যাচাই করতে গিয়ে এনআইডিতে থাকা ভুলটি উঠে আসে।
জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান বয়স্ক ভাতা কার্ড আটকে গেলে জামাত আলী তার কাছে এসেছিলেন। কিন্তু যেহেতু আইনে ব্যাপার তাই তার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জামাত আলী জানান তিনি তার চেলে মনিরুলকে সাথে নিয়ে এনআইডি সংশোধনের জন্য জীবননগর নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলেন। তারা বলেছেন, সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সংশোধন করতে সময় লাগবে। তবে এখনও কোন আবেদন করা হয়নি বলে তিনি জানান।
জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান জামাত ও তার পুত্র মনিরুল ২০০৯ সালের আগে ভোটার হয়েছেন। ঐ সময়ের এনআইডিতে এ ধরনের সমস্যা ছিল।
তিনি জানান আবেদন পেলে অবশ্যই সংশোধন করে দেওয়া হবে।
Leave a Reply