December 22, 2024, 10:42 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
১৮ মাস বন্ধের পর খুলে দেওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের শক্ষার্থীদের হাতে ফুল, চকলেট, বিস্কুট ও মাস্ক দিয়ে বরণ করে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর শেখ আব্দুস সালাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর আলমগীর হোসেন ভুইয়া ও বিভিন্ন হল প্রভোস্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেন জানান অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়া আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে উঠছে। শিক্ষার্থীরা নিবির্ঘেœ হলে উটছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আনন্দে আত্মহারা শিক্ষার্থীরা। প্রচুর উচ্ছাস প্রকাশ করেছে তারা।
দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাকিয়া অরণী জানায় সে যশোর থেকে খুব ভোরে রওনা হয়ে ক্যাম্পাসে এসেছে। তার মা-বাবা দুএকদিন পরে আসতে বললেও এতদিন পর হলে উঠার জন্য সে একদিনও অপেক্ষা করতে চায়নি। তাই আজই এসেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী অশোকেশ রায় জানায় তীব্র আনন্দ নিয়ে সে ১৭ মাস পর ক্যম্পাসে এসেছে। আবার স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনে ফিরতে পারায় সে খুব আননিন্দত বলে জানায়।
এদিকে বিভিন্ন হলের গণরুমগুলো আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু আবাসিক কার্ড ধারী শিক্ষার্থীরাই এই মুহুর্তে হলে উঠতে পারছে।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে আবাসন সুবিধা পায় ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৭টি হলে প্রায় এক হাজারেরও বেশী শিক্ষার্থী গণরুমে থাকেন। তারা হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও বেশ কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই গণরুমে ফ্লোরিং বা ডাবিং করে অবস্থান করেন।
বিশ^বিদ্যালয় প্রকৌশল অফিস জানায় হলগুলোতে ও আশেপাশে এখনও সংস্কার কাজ অব্যাহত আছে।
প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, হল সংস্কারে গত জুনে ইউজিসি থেকে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পায় ইবি। এর মধ্যে আটটি আবাসিক হল সংস্কারে বরাদ্দ পায় এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কাজের পরিধি ভেদে দুই থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছে হলগুলো। তবে যথা সময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় সংস্কারে দেরী হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সি শহিদ উদ্দীন মোহাম্মাদ তারেক বলেন, গত ৬ অক্টোবর থেকে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সার্বিক কাজ শেষ হতে আরও এক মাস সময় লেগে যাবে।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর শেখ আব্দুস সালাম জানান হল খুলে দিয়েই দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল না। শিক্ষার্থীদের সার্বিকভাবে সুস্থ থাকা ও সুস্থ রাখার বিষয়টিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানান সব বিধি বিধান মেনেই আগামী দিনগুলো মোকাবেলা করতে হবে। তিনি জানান এসব বিষয়গুলো নজর রাখতে কতৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply