December 22, 2024, 4:35 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
মহামারী করোনার দীর্ঘ বন্ধের পর সকল প্রতিষ্ঠান খুললেও বন্ধ রয়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রামনগর পশ্চিমপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। কারন হলো ধান লাগানো হয়েছে স্কুল মাঠে। ধান না উঠলে স্কুল খোলা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। চুপচাপ রয়েছেন নিরুপায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গ। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন বাবস্থা নেয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক জানান স্কুলটির জমি স্কুলের নামে দলিলকৃত সম্পত্তি। স্কুলমাঠে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতো এলাকার শিশুরা।
তারা জানান নিয়ম অনুযায়ী এ মাঠে কারো ব্যক্তিগত খেয়াল খুশী মতো কোন কিছু করার সুযোগ নেই। স্কুলটি সরকারীকরণের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা অফিস থেকে পরিদর্শনও হয়েছে একাধিকবার।
“কিš‘ করোনার বন্ধের মধ্যে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুহুল আজম হঠাৎ একদিন স্কুল মাঠে পাওয়ার ট্রিলার নামিয়ে দেন মাঠটি চাষ দিতে। রুহুল আজম শিক্ষকদের জানান চাষ দিয়ে মাঠটিতে ধান চাষ করিয়ে দেবেন তিনি,” বলেন নাম প্রকাশে অনি”ছুক একজন শিক্ষক।
ধানচাষ করায় বন্ধ হয়ে গেছে খেলাধুলা। এমনকি করোনার দীর্ঘ বন্ধের পরও যথাযথ নিয়মে খোলা সম্ভব হয়নি স্কুলটি। কারন স্কুলের মাঠ বলে কিছু নেই। শিক্ষার্থীদের দাঁড়ানোর জায়াগও নেই বলে জানান আরেক শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল হোসেন বলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিদ্যালয় মাঠে ধানচাষ কেন এটা তার কাছে থেকে জেনে নিতে হবে। তার কোনকিছু বলার ক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন অনেক কষ্ট করে আজ থেকে (বুধবার) কিছু শিক্ষার্থী হাজির করানো হয়েছে। তবে এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চাচ্ছেন না বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে এলকার মানুষ নানা মন্তব্য করেছেন।
রামনগর গ্রামের শেখ আসকার হোসেন নামের একজন অভিভাবক জানান এটা সভাপতি করতে পারে না কিন্তু তিনি গায়ের জোরে করেছেন। বা”চাদের খেলার মাঠ এভাবে বন্ধ করে তিনি চরম একটি খারাপ কাজ করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুহুল আজম জানান ধানচাষ করা হয়েছে। এর কারন হিসেবে তিনি বলেন কবে স্কুল খুলবে তার তো ঠিক ছিল না। তাই স্কলের শিক্ষকদের সাথে আলাপ করেই কাজটি করা হয়েছে।
“ এতো বড় একটি জায়গা ফেলে রাখার চেয়ে ধান উঠে এলে ধান বিক্রি করে কিছু পয়সা স্কুল ফান্ডে আসবে,” বলেন রুহুল আজম।
তিনি বলেন এভাবেই চলবে। তিনি জানান তিনি চেষ্টা করছেন যাতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনা যায়।
মিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে এ ধরনের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে বাবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, এমন কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply