December 22, 2024, 4:31 pm
জহির রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে আসা রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। সভায় কমিটির সদস্যরা ওই অভিযোগ করেন। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওই অভিযোগ উত্থাপন করেন তারা। তাদের অভিযোগ, করোনার নমুনা দিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ১০০ টাকার পরিবর্তে খেয়াল খুশি মতো অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর সাথে ল্যাব টেকনিশিয়ানসহ কয়েকজন কর্মচারি জড়িত বলে সভায় জানানো হয় । আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা কোথায় গেলো ? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কমিটির সদস্যরা। কিন্তু ওই অভিযোগের কোন জবাব দিতে পারেনি হাসপাতাল কতৃপক্ষ। পরে ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআই-১) মারুফ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বৈঠকে বসে উত্থাপিত অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ শুরু করবে এই তদন্ত কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে সাধারণ মানুষের করোনা পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ১০০ টাকার পরিবর্তে খেয়াল খুশি মতো টাকা আদায় করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাড়িতে গিয়ে করোনা পরীক্ষায় নেয়া হয় মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু দেয়া হয় না কোন রশিদ। অনেককে রশিদ দেয়া হলেও সেখানে বসানো হয়না আদায়কৃত টাকার পরিমাণ। যেখানে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং দুস্থ ও অসহায়দের জন্য বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তাদের কাছ থেকেও একইভাবে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে চুয়াডাঙ্গায় নমুনা পরীক্ষাও কম বলে জানা গেছে।
সভায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার বলেন, হাসপাতালের অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। স্বচ্ছভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষকে হাসপাতালমুখী করতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম সরকার জানান, আজকের বৈঠকে সামগ্রিকভাবে অনিয়মের বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। সরকারি কাজে স্বচ্ছতা থাকা দরকার। এ কারণেই উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত সাথে সাথেই শুরু করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
Leave a Reply