December 22, 2024, 4:32 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৮৬৬ জনের। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৮৬১ জন, জিন এক্সপার্টে ৬২ জন এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ২ হাজার ৩০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১ হাজার ৮৯৭টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে। বিভাগে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬৫ হাজার ৪৬১ জন। সুস্থতার হার ৭২ শতাংশের কিছু বেশি।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৬ জন। একই সময়ে এক হাজার ৪৩৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। সোমবার (২৬ জুলাই) বিভাগে ৪৬ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
তবে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ জেলাতেই শনাক্ত ও শনাক্তের হার, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগী এবং সক্রিয় রোগী সবই কমেছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনায় জেলায়। বাকিদের মধ্যে যশোরে ৬ জন, কুষ্টিয়ায় ৫ জন, ঝিনাইদহে ৪ জন, মাগুরায় ৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২ জন, বাগেরহাট ও মেহেরপুরে একজন করে মারা গেছেন।
বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ২৯৪।
বিভাগে খুলনা জেলায় করোনায় সর্বোচ্চ ৫৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়ায় ৫২৬ জনের। এ ছাড়া যশোরে ৩৩০ জন, ঝিনাইদহে ১৮৯, চুয়াডাঙ্গায় ১৫৬, মেহেরপুরে ১৩২, বাগেরহাটে ১২০, নড়াইলে ৮৯, সাতক্ষীরায় ৮৪ ও মাগুরায় ৬৫ জন মারা গেছেন।
নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ কুষ্টিয়ায় ২২৭ জন রয়েছেন। এ ছাড়া খুলনায় শনাক্ত হয়েছেন ১৭৬ জন, যশোরে ৬৫ জন, বাগেরহাটে ৫৭ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৫৪ জন, ঝিনাইদহে ৭৬ জন, মাগুরায় ৬০ জন, মেহেরপুরে ৪৮ জন, নড়াইলে ৩৮ জন এবং সাতক্ষীরায় ৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০টি জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৯০ হাজার ৫৪৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৪৬১ জন।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০টি জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৯০ হাজার ৫৪৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ২৯৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৪৬১ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা-সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭৬ জনের। এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৩ হাজার ২৮৫ জনের। মারা গেছেন ৫৯৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৫০৭ জন।
বাগেরহাটে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৭ জনের । এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৮৪৯ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১০৫ জন।
সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৬৫ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫১৩ জন এবং মারা গেছেন ৮৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ২১৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২১০ জন। মোট মারা গেছেন ৩৩০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৮৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় নড়াইলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৭ জনের। মোট মারা গেছেন ৮৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১২৬ জন।
মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬০ জনের শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯২২ জনের। মোট মারা গেছেন ৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭১৪ জন।
ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৩৪৩ জন। মোট মারা গেছেন ১৮৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৪২০ জন।
২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২২৭ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৯০১ জনের। মোট মারা গেছেন ৫৩১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৯ জন।
চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৫৪ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৯০৯ জন। মোট মারা গেছেন ১৫৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৩০ জন।
মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৪৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৮৯ জন।
বর্তমানে করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২ হাজার ৭৯৪ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ২৯৪ জন। অন্যরা বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিভাগে এখন পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ২৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া যশোরে শনাক্ত হয়েছে ১৮ হাজার ২১০ জন, কুষ্টিয়ায় ১৩ হাজার ৯০১ জন, ঝিনাইদহে ৭ হাজার ৩৪৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৫ হাজার ৯০৯ জন, বাগেরহাটে ৫ হাজার ৮৪৯ জন, সাতক্ষীরায় ৫ হাজার ৫১৩ জন, নড়াইলে ৪ হাজার ১৭ জন, মেহেরপুরে ৩ হাজার ৬০০ জন এবং মাগুরায় ২ হাজার ৯২২ জন শনাক্ত হয়েছে।
Leave a Reply