December 22, 2024, 8:03 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বগুড়া জেলার ধুনটে মসজিদ উন্নয়নের চাঁদার টাকা না দেয়ায় ৯টি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে তিন বছর আগে গ্রামের একটি জামে মসজিদ উন্নয়নের জন্য সমাজের সব পরিবারের নামে সামর্থ্য অনুযায়ী চাঁদা ধরা হয়। এর মধ্যে ৩২টি পরিবার মাতব্বর ও মওলানাদের কথামতো চাঁদার টাকা দিতে না পারায় সমাজ থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়।
এ বছর ঐ ৩২ পরিবারের মধ্যে ২৩টি পরিবার আবার নতুন করে সমাজভুক্ত হয়েছে। কিন্তু ৯টি পরিবার সে সুযোগ পায়নি।
এর ফলাফল হিসেবে এ বছর জাহাঙ্গীর আলম, ফটিক সরকার, বাবু মিয়া, সৌবার আলী, বেহুলা বেওয়া, আবুল কালাম, শহিদুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন ও হেলাল উদ্দিনের পরিবারের ৩৫ জন সদস্যকে কোরবানীর মাংস পর্যন্ত দেয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী বেহুলা বেওয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। সমাজের মাতব্বররা মসজিদের নামে যে টাকা চাঁদা চায় আমরা তা দিতে পারি না। অল্প টাকা দিতে গেলে তারা নেয় না। এই ঘটনা নিয়ে তারা আমাদের ৯টি পরিবারে কোরবানির মাংস দেয় না।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি মসজিদের চাঁদা দিয়েছি। গরিববদের নিয়ে প্রতিবাদ করায় এবছর তারা আমাকেও মাংস দেয়নি।’
এছাড়া সামাজচ্যুত অন্যান্য পরিবারগুলো জানায়, এবার কোরবানির ঈদের আগে সমাজে ফেরার জন্য হাত-পা ধরেও কোনো প্রতিকার হয়নি। মাতব্বররা কোনো কথা শুনেননি।
ওই সমাজের প্রধান মাতব্বর মাসুদ সরকার বলেন ওই ৯ পরিবার কোরবানির মাংস না পাওয়ার বিষয়ে তার জানা নেই।’
উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, ‘মরিচতলা গ্রামের ৯ পরিবারের সমাজচ্যুতর বিষয়টি আগে জানা ছিল না। তবে ঈদের দিন খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস ছালাম বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসা করার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। স্থানীয়ভাবে সমঝোতা না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Leave a Reply