December 22, 2024, 12:48 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক//*/
কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে এক গৃহবধুকে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধু শেফালী খাতুন এখন লড়ছে মৃত্যুর সাথে। ওদিকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে নির্যাতনকারী স্বামী মধু শেখ।
জানা যায় ১৮ বছর আগে মধু শেখ শেফালীকে বিয়ে করে দেড় লক্ষ টাকার যৌতুব নিয়ে। তাদের সংসার জীবনে ২টি ছেলে সন্তান, শিশির (৮) ও রাহিন (৪)। মধু প্রায় স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলতে থাকে। শেফালী বিষয়টি তার বাবাকে জানালে অসহায় বাবা মনোব্বর হোসেন মেয়ের সংসার বাচাঁতে বাড়ির ২টি গুরু বিক্রি করে মধুকে এক লক্ষ টাকা দেয়। কিছু দিন যেতেই আবারও পাওয়ার টিলার ক্রয়ের নামে শেফালীকে তার বাবার কাছ থেকে টাকা অনতে বলে মধু। শেফালী না করলে তার উপর নির্যাতন করতে থাকে মধূ। এমতাবস্থায় আবারও শেফালীর বাবা পাওয়ার টিলার ক্রয়ের জন্য এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা জামাই মধু শেখ কে দেয়।
কিন্তু যৌতুকলোভী মধু শেখ থেমে থাকেনি। সে একের পর এক নানা বাহানা তৈরি করে টাকা দাবী করতে থাকে। শেফালী অপারগতা প্রকাশ করলেই তার উপর নেমে আসে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন। জানা যায়, শেষ পর্যায়ে সে অঅরো দুই লক্ষ টাকা আদায় করে স্ত্রী শেফালীর বাবার কাছ থেকে।
যৌতুকলোভী মধুর টাকা নেশা পেয়ে বসে। যখনি টাকার দরকার হয় তখন সে স্ত্রী শেফালীর উপর অত্যাচারের পথ বেছে নেয়।
এমতাবস্থায় ৩০ শে এপ্রিল দুপুরে ঘরে খাবার না থাকায় শেফালী স্বামী মধু শেখকে বাজার করে আনতে বলে। শুনেই মধু শেখ তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। অপারগতা প্রকাশ করার সাথে সাথেই সে শেফালী খাতুন কে ঘরে দরজা আটকিয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে ও হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করতে থাকে। নির্যাতনে শেফালীর হাতের নখ ভেঙে যায়। রক্তাক্ত শেফালীর আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে। এসময় মধু শেখ দৌড়ে পালিয়ে যায়।
শেফালীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানায় শেফালী খাতুনের বাম পাজরে রক্ত জমাট বেঁধে আছে ও হাতের আঙুল ভেঙ্গে গেছে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানায় শেফালী খাতুনের বাবা মনোব্বার শেখ বাদী হয়ে মধু শেখের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে।
Leave a Reply