December 22, 2024, 2:01 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. আমানুর আমানকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর স্কুল এন্ড কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি মনোনিত করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জের সুপারিশক্রমে যশোর বোর্ড কতৃপক্ষ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গর্ভনিং বডি প্রবিধিমালা- ২০০৯ অনুসারে এডহক গর্ভনিং বডির অনমোদন দেয়।
গর্ভনিং বডির অন্যান্য সদসগণ হলেন সাধারণ শিক্ষক সদস্য আবু দাউদ, অভিভাবক সদস্য মুক্তার হোসেন ও সদস্য-সচিব রমানাথপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল।
এদিকে এই মনোনয়নের জন্য ড. আমান কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। একই সাথে তিনি এলাকার শিক্ষা উন্নয়নে তার ভুমিকা পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আরেক বার্তায় রমানাথপুর স্কুল এন্ড কলেজ কতৃপক্ষ সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ড. আমানুর আমান/
ড. আমানুর আমান অনেক কৃতিত্বের অধিকারী। তিনি একাধারে গবেষক, লেখক, কবি, কলামিস্ট। অত্যুজ্জল সাংবাদিকতা অঙ্গনেও। কাজ করে চলেছেন রাজনীতি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তাঁর গবেষণার ভাষা ইংরেজী ; গবেষণার বিষয় সমাজ, রাজনীতি, উন্নয়ন, সু-শাসন, নেতৃত্ব, নারী ক্ষমতায়ন ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা।
ড. আমান কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রমানাথপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।
লেখাপড়া/
ড. আমান এসএসসি পাশ করেন এই ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ওসমানপুর হাই স্কুল থেকে ; এইচএসসি করেন খোকসা সরকারী কলেজ থেকে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে অনার্স সহ মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. আমানুর আমান ২০০৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে এম.ফিল (মাস্টার অব ফিলোসফি)) ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচডি (ডক্টর অব ফিলোসফি) ডিগ্রি অর্জন করেন ভারতের দার্জিলিং-এর ইউনিভার্সিটি অব নর্থ বেঙ্গল থেকে ২০১১ সালে।
প্রকাশিত গন্থ/
ড. আমানুর আমানের লিখিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৮। গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা-১৪ ; ইংরেজী ভাষায়। বাংলা ভাষায় লিখিত গহ্নের সংখ্যা-৯ ; রয়েছে অন্যান্য গ্রন্থাবলী। ড. আমানের লিখিত প্রবন্ধ ও গবেষণা প্রবন্ধের পরিমাণ দেড় শতাধিক।
সাংবাদিকতা/
সাংবাদিকতায় ড. আমানুর আমানের রয়েছে এক বর্ণাঢ্য ও প্রসারিত ক্যারিয়ার ; ১৯৯১ সালে কলেজে অধ্যয়নকালীন অধুনালুপ্ত জাতিয় দৈনিক ভোর পত্রিকার স্থানীয় সংবাদদাতা হিশেবে সাংবাদিকতায় আত্মপ্রকাশ। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর যোগদান করেন জাতীয় দৈনিক আজকের কাগজের প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে। পরে ১৯৯৬ সালে আজকের কাগজের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান।
১৯৯৭ সালে আমান স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এ সময় তিনি জাতীয় দৈনিক সংবাদের কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতা হিসেবে দু’বছর কাজ করেন। এছাড়া তিনি সাপ্তাহিক খবরের কাগজ, সাপ্তাহিক শিক্ষা বিচিত্রাতে নিয়মিত কলাম লিখেছেন। এ সময়ে ছাত্র জীবনেই তিনি ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলী স্টার-এ কাজ শুরু করেন। পরে ২০০০ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী শুরু করলেও সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখেন।
ড. আমানুর আমান ২০১০ সালে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত ঐতিহ্যবাহী বাংলা দৈনিক ’দৈনিক কুষ্টিয়া’ পত্রিকার মালিকানা ক্রয় করেন। ২০১১ সালে তিনি কুষ্টিয়া থেকে ইংরেজি সাপ্তাহিক দি কুষ্টিয়া টাইমস’র প্রকাশনায় হাত দেন। বর্তমানে তিনি এ দুটি পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ও মালিক।
এছাড়া, ভারত, শ্রীলংকা, আমেরিকা ও কানাডাসহ আর্ন্তজাতিক প্রিন্ট মিডিয়ায় তার বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
সাংবাদিকতায় ড. আমান দেশ ও বিদেশে শ’য়ের কাছাকাছি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। সাংবাদিকতার স্বীকৃতি স্বরুপ আমান ইতোমধ্যে পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি ২০০৫ সালে দি ডেইলী স্টার’র ’স্পেশাল এওর্য়াড’ পান। শিশু শ্রম বিষয়ে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে লেখালেখী ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমান ২০০৫ সালে আর্ন্তজাতিক সংস্থা আই,এল,ও কর্তৃক পুরস্কৃত হন। শিশু শ্রম বিষয়ে তার একাধিক রিপোর্ট বেশ কিছু আর্ন্তজাতিক প্রিন্ট মিডিয়া ও আর্ন্তজাতিক গবেষনা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা।
রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড/
ড. আমান বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাকালীন সাদ্দাম হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি ছাত্র জীবনেই কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
ড. আমান বিভিন্ন উন্নয়নমুলক সামাজিক কর্মকান্ডে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। তিনি জেলায় অসংখ্য সামাজিক , সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের সৃষ্টি করেছেন ও সৃষ্টিতে সহায়তা দিয়েছেন। তিনি প্রায় ৪০টিরও বেশী এসব সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টা। সামাজিক কর্মকান্ডকে বেগবান করতে তিনি সমমনা সামাজিক সংগঠকদের সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘সম্মিলিত সামাজিক জোট’। ড. আমান এই জোটের চেয়ারম্যান। তিনি কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির অন্যতম কার্যনিবাহী পর্ষদ সদস্য।
তিনি ২০০৯-২০১০ সেশনে এপেক্্র ক্লাব অব বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ইউনিটের জেনারেল সেক্রেটারী ছিলেন।
তিনি বংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতির আজীবন সদস্য ও সংগঠনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক। এছাড়াও, তিনি জেলার একাধিক সরকারী ও বেসরকারী সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য/উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পদমর্যাদায় সেবা কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
ড. আমান একজন খ্যাতনামা বির্তাকিক, বির্তক বিচারক ও প্রশিক্ষক।
শিক্ষায় অবদান/
আমান ২০০৬ সালে গ্রামীন পর্যায়ে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় সহায়তা করতে একটি বৃত্তি প্রকল্প হাতে নেন। প্রতিষ্ঠা করেন তার পিতার নাম অনুসারে “সামসুদ্দিন মোল্লাা ফাউন্ডেশন”। তাঁর গবেষণা থেকে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ তিনি উক্ত প্রতিষ্টানে প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন লাভ করে। এটি খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এটি জেলার বির্স্তীণ গ্রামীণ এলাকায় গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সহায়তা প্রদান করছে। তিনি ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক।
২০১৮ সালে ড. আমান কয়েকজন সতীর্থ নিয়ে কুষ্টিয়া শহরে গড়ে তোলেন ‘কুষ্টিয়া পাবলিক স্কুল’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি কুষ্টিয়ায় শিশু শিক্ষায় অনন্য একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
কর্মজীবন
ড. আমান বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
Leave a Reply