দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ/
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহতে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন।
ঝিনাইদহ জেলায় কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল ৬টা থেকে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন এবং জেলাজুড়ে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি অসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
কঠোর লকডাউনে ঝিনাইদহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সড়কে তৎপর রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।ঝিনাইদহে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে শহরে বেশ কড়াকড়ি দেখা গেছে। সকাল থেকে শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং মল বন্ধ রয়েছে। কিছু রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে শহরের নতুনহাটখোলার প্রধান কাঁচাবাজারে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।
এছাড়াও সকাল থেকে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শহরে র্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এদিকে সকাল থেকেই সড়কে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মানুষের চলাচল ছিল খুবই সীমিত ।
আজ প্রথমদিনে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মাঠে আছেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান, দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে.কর্নেল মোর্শেদুল হাসান পিএসসি, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা পিএিএ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আইসটি সালমা ইসলাম, জেলা আনসার ভিডিপির উপ-পরিচালক ও কমান্ড্যান্ট মো: আশিক উজ জামান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) আবুল বাশার, ক্যাপ্টেন তানজিমুল আনোয়ার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম শাহীনসহ জেলা শাসন,সামরিক বাহিনী ও বিজিবির কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মোঃ মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সকাল থেকে জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন। জেলার ৬টি উপজেলায় পুলিশ শক্ত অবস্থানে আছে। জেলা শহরসহ প্রতিটি উপজেলায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ঝিনাইদহ শহরসহ জেলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রতিটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যাতে কোনোভাবেই বিনা কারণে কেউ রাস্তায় বের হয়ে ঘুরাঘুরি করতে না পারে। সকলকে সরকারী বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। বিনা কারণে কেউ ঘর থেকে বের হলে এবং বিধিনিষেধ অমান্য করলে কঠোর আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। সরকার জরুরি সেবা বলতে যা বুঝিয়েছে এর বাইরে কোনও যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply