December 22, 2024, 11:29 am
হুমায়ুন কবির/
“গতকাল থেকে খাবার ফুরিয়ে গেছে। ঘরে খাবার নেই, ছেলেমেয়েরা অনাহারে। মুড়ি খেয়ে রোজা রেখেছি, দয়া করুন।” ফোন কলটি এভাবেই আসে। অপরিচিত নাম্বার। ফোনটি আসে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আলমের সরকারি ফোনে।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের আব্দুল করিম বিশ্বাসের ছেলে মোহাম্মদ আলী মন্টু ফোনটি করে। তিনি পেশায় একজন মোটর শ্রমিক। দীর্ঘ একমাস গাড়ি চালাতে পারেন না। অর্থ-খাদ্য যেটুকু ছির শেষ এ ক’দিনে। ঘরে তিন সন্তান।
দেরি করেননি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ২০ মিনিটের মধ্যেই এসআই আরিফুল ইসলামের মাধ্যমে ঐ মোটর শ্রমিকের বাড়িতে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়।
অভুক্ত মটর শ্রমিক এভাবে খাদ্য পেয়ে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন এখানে ওখানে এরকম ঘটনা ঘটছে তিনি শুনেছেন। প্রথমটাই তার একদিকে যেমন খারাপ লাগছিল ফোন করতে অন্যদিকে পুলিশকে ফোন করতে ভয়ও করছিল।
খোকসা থানায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের ঘরে সাহায্য এভাবেই পৌঁছে দিয়েছেন। বিশেষ করে যারা চাইতে পারছেন না।
Leave a Reply