December 21, 2024, 11:00 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মা নদীর ভাঙনে ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে বিলীন হয়ে যাওয়া ঐ সীমান্তবর্তী বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রায় ২০০ একর জমি একটি যথাযথ জরিপ করে বাংলাদেশি মালিকদের ফিরিয়ে দেবে ভারত।
রোববার কুষ্টিয়ার বিএসএফের আহ্বানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডির জামালপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১৫২/৭-এস থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে ঐ জমি সংক্রান্ত এ ধরনের সমঝোতা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান। তিনি আরও যোগ করেন যে, বৈঠকে বিবাদমান জমি পুনরায় জরিপ করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বিবাদমান জমিগুলো ভারত সীমান্তে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীঘেঁষা চল্লিশ পাড়া এলাকায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর ভাঙনে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে চল্লিশপাড়া বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) পিলার ১৫৭/এমপি থেকে ৮৫/১০-এস এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সীমানা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রæয়ারি উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের আনুমানিক ২০০ একর জমি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের আনুমানিক ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া যায়।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়ার বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে রওশনবাগ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং নেতৃত্ব দেন।
আলাপকালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান দ্য ডেইলি সানকে বলেন, আগামী অক্টোবরে সুবিধাজনক সময়ে উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে পুনরায় জরিপ করে জমির প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। তিনি জানান, আপাতত ঐ জমিগুলোর উপর কোন দেশের নাগরিকরাই যেতে পারবেন না। সমষ্যার পুরোপুরি সমাধানের পরই তারা জমি ফিওে পাবেন এবং ভোগ করবেন।
বৈঠকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আন্তরিকতা কেমন ছিল জানতে চাইলে, বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না।
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত সীমান্তের বিবাদমান অংশটি নদী এলাকার মধ্যে রয়েছে। পদ্মার অব্যাহত ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দুই দেশের সঠিক সীমানা নির্ধারণে জটিলতা ছিল। দুই দেশের প্রচেষ্টায় তা সমাধানে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দ্রুত সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে জমি বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে না।’
Leave a Reply