December 22, 2024, 8:52 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। আজ যে অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি হতে যাচ্ছে তা দৃশ্যমান হতে থাকে জুলাইয়ের শুরুর দিক থেকে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে। গত ১৪ জুলাই পর্যন্ত এ আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে ১৫ জুলাই। এর পর থেকে মূলত আন্দোলনের তীব্রতা ও ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবি আসে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে। ডাক দেয়া হয় অসহযোগ আন্দোলনের। ৪ আগস্ট মাঠে নামার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এদিন সারা দেশে ব্যাপক সংঘাতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচিতে রাজপথে নেমে আসে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা। শেষমেশ ক্ষমতা ছেড়ে এদিন ভারতে আশ্রয় নেন ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসা শেখ হাসিনা।
সরকার পতনের একদিন পর বাতিল ঘোষণা করা হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। এরপর ৮ আগস্ট ড. মো. ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। সেই হিসেবে দুদিন দেশে কোনো সরকার ছিল না।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়াকে। রাষ্ট্রের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য ৮ আগস্ট ছয় সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লিয়াজোঁ কমিটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে পরামর্শ দেবে এবং সরকার, অংশীজন ও ছাত্র-জনতার সঙ্গে সমন্বয় করবে। লিয়াজোঁ কমিটির অন্যতম সদস্য মাহফুজ আব্দুল্লাহকে পরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষণ ও ধরপাকড়ের কারণে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ পুলিশ। সরকার পতনের পর তারাও কর্মস্থল ত্যাগ করে। ফলে থানা ও ট্রাফিক সিগন্যালগুলো কার্যত পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরাই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। পুলিশ কর্মস্থলে যোগদান করার পরও সব মিলিয়ে ১০ দিন শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করে।
Leave a Reply