February 5, 2025, 11:51 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কোটা আন্দোলন ঘিরে ফের উত্তপ্তের দিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। এ প্রেক্ষিতে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) টহল বাড়ানো হয়েছে। সতর্ক ও সশস্ত্র অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে সেনাবহিনী সদস্যদের। সবাই সার্বক্ষণিক প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রয়েছেন বিভিন্ন বাহিনীর ৩০ হাজার সদস্য।
সূত্র জানিয়েছে, সরকারের শীর্ষ মহল থেকে বিশেষ বার্তায় সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার সদর দপ্তর থেকে সবগুলো ইউনিটে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। সর্বোচ্চ সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নিতে ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে শান্তিপূর্ণ অবস্থানকারীদের বিষয়ে সহনশীলতা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন সূত্র বলছে, তবে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে, জ্বালাও পোড়াও করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর হবে।
গোয়েন্দারা বলছেন, জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনের পর থেকেই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তারা। এক এলাকার নেতা-কর্মীদেরকে তারা অন্য এলাকায় গিয়ে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছে। তবে কারফিউ জারির আগে ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেওয়া কিছু নেতা-কর্মী এখনো নিজেদের এলাকায় ফেরেনি। তাদেরকে প্রয়োজনে অবস্থান পরিবর্তন করে পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেতে বলা হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, সম্ভাব্য হামলা-নাশকতার বিপরীতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং টার্গেট ব্যক্তিদের ঘিরে বিশেষ প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তুতিকে আরও নিখুঁত করার জন্য বলা হয়েছে। সবগুলো সংস্থাকে পাঠানো হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। যদিও কোটাবিরোধী আন্দোলনকে পুঁজি করে দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে কারফিউ জারী করেছে সরকার। এ কারণে মাঠে সশস্ত্র অবস্থায় রয়েছেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
একটি সূত্র জানিয়েছে, জামাত-শিবির বিভিন্ন জেলার উপর ব্যাপক জরিপ চালিয়ে যেসব জায়গায় আইন শৃঙ্খলা একটু শিথিল সেসব জায়গাগুলো বেছে নিয়ে নাশকতা চালাতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে।
এদিকে, সারাদেশের মতো কুষ্টিয়াতেও সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের বিশেষ নজরদারীতে রয়েছে। জেলা পুলিশের বিভিন্ন সূত্র দৈনিক কুষ্টিয়াকে জানিয়েছে, তারা আন্দোলনকারীদের যে কোন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ মেনে নেবে। প্রয়োজনে সহযোগীতা করবে। কিন্তু পরিস্থিতি ঘোলাাটে করার যে কোন প্রচেষ্টা তারা কঠোরভাবে দমন করবে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ যে কোন শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে পুলিশ সহযোগীতা দেবে। কিন্তু সমাবেশ থেকে সহিংসতা করা হলে, বা নাশকতার মতো কিছু ঘটানো হলে, পুলিম ব্যভস্থা নেবে। তিনি সবাইকেই সংযমী হবার আহবান জানান।
Leave a Reply